Anti Ageing Night Cream

নামীদামি প্রসাধনী নয়, ঘরোয়া ক্রিমেই ঠেকানো যাবে বলিরেখা, কী ভাবে তা বানাবেন?

বাজারচলতি প্রসাধনীতে থাকা রাসায়নিকের ব্যবহার এড়াতে চাইলে, বাড়িতে প্রাকৃতিক উপাদান দিয়েও তৈরি করে নেওয়া যায় ক্রিম। ত্বকের ধরন অনুযায়ী কী ভাবে তা বানাবেন?

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৪:০১
Share:

বলিরেখা ঠেকাতে নাইট ক্রিম মাখবেন? বাজার থেকে না কিনে, বাড়িতেও বানাতে পারেন? ছবি:ফ্রিপিক।

বয়স হলে মুখে বার্ধক্যের ছাপ পড়বে সেটাই স্বাভাবিক। বলিরেখা, ত্বকের জৌলুস হারানো— এই সবই সাধারণ ব্যাপার। তবে, নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, সঠিক রূপচর্চায় কিছুটা হলেও ঠেকিয়ে রাখা যায় বার্ধক্যের ছাপ।

ত্বক নিয়ে যাঁরা চর্চা করেন তাঁরা বলেন, প্রতিদিন ক্লিনজ়িং, টোনিং, ময়েশ্চারাইজ়িং-এর পাশাপাশি জরুরি নাইট ক্রিমও। বিশেষত বয়স ৩৫ পেরোলেই এর প্রয়োজন হয় আরও বেশি। তার কারণ হল বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ত্বকের কোলাজেনের পরিমাণ কমতে থাকে। ত্বক ক্রমশ পাতলা হয়ে যায়, বলিরেখা পড়ে। নাইট ক্রিম ত্বকে কাজ করে রাতভর। গভীরে গিয়ে আর্দ্রতা জোগানোর পাশাপাশি ত্বককে প্রয়োজনীয় পুষ্টি জোগায়।

শীতের মরসুমে বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ কমে যাওয়ায় ত্বক রুক্ষ হয়ে ওঠে। আবার গরমের দিনে সারা রাত শীতাতপ নিয়ন্ত্রক যন্ত্র চালু রাখলেও ত্বকের আর্দ্রতা কমতে থাকে, যা অত্যন্ত ক্ষতিকর। এ ছাড়াও দূষণ, সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মির কারণে ত্বকে বার্ধক্যের লক্ষণ বয়সের আগেই দেখা দিতে পারে। তা ঠেকাতে, রাতভর যাতে ত্বকে ময়েশ্চারাইজ়ারের বর্ম থাকে সে কারণেই নাইট ক্রিম ব্যবহার করা অত্যন্ত জরুরি।

বাজারচলতি রকমারি ক্রিম পাওয়া যায়। কিন্তু বেশির ভাগ ক্রিমেই ব্যবহার হয় নানা ধরনের রাসায়নিক। ত্বকের জন্য যে কোনও রাসায়নিক ভাল নয়। ত্বকের চিকিৎসক দিবেন্দর এম মহাজন বলছেন, ‘‘বাজারচলতি নাইট ক্রিমে ব্যবহৃত রাসায়নিক ত্বকের জন্য ভাল নয়। বদলে ত্বকের উপযোগী তেল, মাখনের মতো প্রাকৃতিক উপাদান বেছে নেওয়া চলে।’’

ত্বকের ধরন শুষ্ক হোক বা তৈলাক্ত কিংবা স্বাভাবিক— বলিরেখা যে কোনও ত্বকেই পড়তে পারে। বলিরেখা আটকাতে কী ভাবে বাড়িতে নাইট ক্রিম তৈরি করবেন?

আপেলের নাইট ক্রিম

উপকরণ

আধখানা আপেল

আধ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল

আধ টেবিল চামচ কাঠবাদামের তেল

পদ্ধতি: আপেল কেটে মিক্সিতে ঘুরিয়ে নিন। তাতে তেল মিশিয়ে অনেক ক্ষণ ধরে ফেটিয়ে নিলে জিনিসটি ক্রিমের মতো হয়ে যাবে। আপেলের ক্রিম তৈলাক্ত বা স্বাভাবিক ত্বক— যে কেউ ব্যবহার করতে পারেন। এক সপ্তাহ কৌটোয় ভরে ফ্রিজে রেখে এই ক্রিম মাখতে পারেন। আপেলে রয়েছে ভিটামিন এ, সি, ম্যালিক অ্যাসিড। এতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট ত্বক উজ্জ্বল রাখতে সাহায্য করবে।

গ্রিন টি

উপকরণ

১ টেবিল চামচ গ্রিন টি

১ টেবিল চামচ কাঠবাদামের তেল

১ টেবিল চামচ গোলাপ জল

১ টেবিল চামচ অ্যালো ভেরার রস

১ টেবিল চামচ বি-ওয়্যাক্স

পদ্ধতি: গরম জলের উপর একটি পাত্র বসিয়ে তাতে ভাল মানের বি-ওয়্যাক্স দিন। সেটি গলে গেলে একে একে অন্যান্য তেল, অ্যালো ভেরা, ১ টেবিল চামচ গ্রিন টি বা চা-পাতার গুঁড়ো এতে মিশিয়ে নিন। সমস্ত উপকরণ মিশিয়ে কাচের শিশিতে ঢেলে রাখুন। যে কোনও ত্বকেই এটি ব্যবহার করা চলে। মুখে ব্রণ, র‌্যাশের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে গ্রিন টি।

দুধের ক্রিম

উপকরণ

১ টেবিল চামচ দুধের সর

১ টেবিল চামচ গোলাপজল

১ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল

১ টেবিল চামচ গ্লিসারিন

পদ্ধতি: গেলাপজল ছাড়া বাকি সমস্ত উপকরণ একটি পাত্রে রেখে খুব ভাল করে মিশিয়ে নিন। একদম শেষ ধাপে যোগ করুন গোলাপজল। বলিরেখা কমাতে এই ক্রিমটিও খুব কার্যকর। বিশেষত ত্বকের ধরন শুষ্ক হলে এই ক্রিমটি মেখে দেখতে পারেন। ক্রিম তৈরির পর তা পরিষ্কার কাচের শিশিতে ভরে ফ্রিজে রাখতে পারেন। তবে কোনও ক্রিমই এক বার বানিয়ে সপ্তাহখানেকের বেশি ব্যবহার করা যাবে না।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন