ব্রণ-ফুস্কুড়ির আধিক্য থাকলে দোলের আগে কী ভাবে ত্বকের যত্ন নেবেন? ছবি: ফ্রিপিক।
দোলের রং মানেই তা রাসায়নিকে ঠাসা। যতই ভেষজ রং বলে চালানো হোক না কেন, টকটকে লাল বা উজ্জ্বল হলুদ রং মানেই, তা তৈরি করা হয় নানা ক্ষতিকর রাসায়নিক দিয়ে। এই রং ত্বকে দীর্ঘ ক্ষণ লেগে থাকলেই ব্রণ, র্যাশের সমস্যা দেখা দেবে। যাঁদের আগে থেকেই ত্বকে ব্রণ রয়েছে, তাঁরা হয়তো ভাবছেন, কী ভাবে দোলে রং মাখবেন। তার জন্য আগে থেকেই ত্বকের যত্ন নিতে হবে।
ব্রণ সারাতে ঘরোয়া ফেসপ্যাক
পেঁপের ফেসপ্যাক
ত্বকের প্রদাহ কমাতে ও পিএইচের ভারসাম্য বজায় রাখতে পেঁপের ফেসপ্যাক ব্যবহার করতে পারেন। পাকা পেঁপে বেটে নিয়ে তার সঙ্গে এক চামচ গুঁড়ো দুধ ও এক চামচ লেবুর রস মিশিয়ে এই মিশ্রণ ভাল করে ত্বকে মালিশ করুন। ২০ মিনিট রেখে ঈষদুষ্ণ জলে মুখ ধুয়ে নিন। দোলের আগে ক’দিন এই ফেসপ্যাক ব্যবহার করলে ত্বক নরম থাকবে, ব্রণ-ফুস্কুড়ির সমস্যা দূর হবে।
ত্বকে প্রদাহ বাড়লে ব্রণর সমস্যা বাড়ে, রাসায়নিক মেশানো রং লাগলে তা আরও বাড়তে পারে। ফাইল চিত্র।
দই-অলিভ অয়েল
২ চা চামচ দইয়ের সঙ্গে ২ চামচ মধু, ১ চামচ অলিভ অয়েল ও ২ চা চামচ নারকেল তেল মিশিয়ে ভাল করে মুখে মেখে নিন। ১৫ মিনিট রেখে মুখ ধুয়ে নিতে হবে। দোলের রং মাখার আগেও এই ফেসপ্যাক ব্যবহার করতে পারেন, এতে ত্বকের রন্ধ্রে রং বেশি পরিমাণে ঢুকবে না।
রাতে অ্যালো ভেরার মাস্ক
শুষ্ক ত্বকের জন্য
রাতে শুতে যাওয়ার আগে ভাল করে মুখ ধুয়ে অ্যালো ভেরা জেলের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা কাঠবাদামের তেল বা অলিভ অয়েল মিশিয়ে নিয়ে মুখে মাখতে হবে। বিশেষ করে, চোখের চারপাশে মাখলে কালচে দাগ উঠে যাবে। ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলবেন।
তৈলাক্ত ত্বকের জন্য
ত্বক খুব তৈলাক্ত হলে অ্যালো ভেরার সঙ্গে তিন থেকে চার ফোঁটা টি ট্রি অয়েল মিশিয়ে নেবেন। রাতে মুখ ধুয়ে এই জেল লাগিয়ে ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে। টি ট্রি তেলের অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল গুণ আছে। এটি প্রদাহনাশকও। ত্বকের যে কোনও সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে পারে।
সাধারণ ত্বকের জন্য
ভাল করে মুখ ধুয়ে শুকনো করে মুছে নিন। তার পর অল্প পরিমাণে অ্যালো ভেরা জেল লাগিয়ে সারা রাত রেখে দিন। সকালে ক্লিনজ়িং মিল্ক দিয়ে মুখ ধুয়ে নিতে হবে।
পেয়ারার ফেস-মাস্ক
ত্বক যদি খুব তৈলাক্ত হয়, তা হলে পাকা পেয়ারা বেটে নিয়ে তার সঙ্গে এক চা চামচ মধু ও এক চামচ লেবুর রস মিশিয়ে ভাল করে মেখে ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে নিতে হবে। এই ফেস-মাস্কে ত্বকের ধুলোময়লা, মৃত কোষ দূর হবে। ত্বক টানটান হবে। দোলের আগে কয়েক দিন এ ভাবে মেখে দেখুন, ব্রণের সমস্যা অনেক কমে যাবে।
ত্বক খুব বেশি শুষ্ক হলে, পেয়ারা বেটে তার সঙ্গে এক চামচ দই ও এক চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে মাখুন। ১৫ মিনিট রেখে ঠান্ডা জলে মুখ ধুয়ে নিতে হবে।
ত্বক যদি স্পর্শকাতর হয়, তা হলে পাকা পেয়ারা বেটে নিয়ে তার সঙ্গে শসার রস মিশিয়ে মুখে মাখতে হবে। এই ফেস-মাস্ক ত্বকের জ্বালা-চুলকানি কমাবে।