বয়ঃসন্ধিকালের ব্রণ সময়ের সঙ্গে মিলিয়ে গেলেও তার দাগ থেকে যায়। ছবি : সংগৃহীত
তরুণ-তরুণী নির্বিশেষে বয়ঃসন্ধিকালের প্রধান সমস্যা হল ব্রণ। তবে এই বয়স পেরিয়ে গেলেও অনেকের ব্রণ হয়। বয়ঃসন্ধিকালের ব্রণ সময়ের সঙ্গে মিলিয়ে গেলেও তার দাগ থেকে যায়। এই দাগের কারণ হল কাঁচা অবস্থায় ব্রণ খুঁটে ফেলা।
ত্বকের রোমকূপ বন্ধ হয়ে গেলে, অতিরিক্ত তেল নিঃসৃত মুখ সঠিক ভাবে পরিষ্কার করা না হলে, মুখে প্রোপিয়নিব্যাকটেরিয়াম অ্যাকনেস নামের ব্যাকটেরিয়ার জন্ম হয়। প্রাথমিক ভাবে সেখানে ব্ল্যাক হেডস বা হোয়াইট হেডস হয়। তার পর সেখান থেকে ছোট ব্রণ, ধীরে ধীরে সেই ব্রণটিই বড় হলে তার মধ্যে পুঁজ জমতে শুরু করে। অসম্ভব ব্যথাও হয়। এমন অবস্থায় কোথাও ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা থাকলে, মুখময় উঁচু উঁচু ব্রণ নিয়ে বেরোতে খারাপ লাগতেই পারে। তাই ইচ্ছে না থাকলেও অমসৃণ মুখকে সাময়িক মসৃণ ভাব দিতে গিয়ে, সজ্ঞানে খুঁটে ফেললেন।
ব্রণ খোঁটা উচিত না জেনেও যখন সেই কাজটি করে ফেলেন তখন কী ঘটে?
ব্রণ একটু চুলকালে বা ছোট আকারে বেরোলে তা নখ দিয়ে খুঁচিয়ে বা হাত দিয়ে গলিয়ে ক্ষত বড় করে ফেলেন। এটি মুখের জন্য খুবই ক্ষতিকর। কারণ, আমাদের হাতে বা নখে যত ময়লা থাকে, তা সরাসরি ত্বকের সংস্পর্শে চলে এসে সংক্রমণ আরও বাড়িয়ে তোলে। শুধু ত্বকের উপরিভাগে নয়, ত্বকের গভীরে গিয়ে সংক্রমণ সৃষ্টি করতে পারে। পাশাপাশি, ওই ব্রণ থেকে বেরোনো রক্ত, রস থেকে আশপাশের জায়গায় ব্রণ ছড়িয়ে যেতে পারে।
এর থেকে মুক্তির উপায় কী?
যতই পরিচর্যা করুন না কেন, একটা বয়সে শরীরে হরমোনের ভারসাম্য বিঘ্নিত হলে ব্রণ হবেই। মুখে দাগ হয়ে যাওয়ার পর কী করবেন, তার জন্য চিন্তা না করে, দাগ যাতে না হয় সেই চেষ্টা করুন। ব্রণ হওয়ার প্রাথমিক পর্যায় থেকেই মুখের যত্ন নিতে শুরু করুন। ‘বয়স কম, বয়স বাড়লে সব ঠিক হয়ে যাবে’ এই ধারণা নিয়ে বসে থাকা ভুল। ত্বক তৈলাক্ত হলে ত্বকচর্চার প্রসাধনীতে বেনজ়য়েল এবং স্যালিসিলিক অ্যাসিডযুক্ত জিনিস রাখতে চেষ্টা করুন। যা ত্বকের উপরিভাগের তেলের ভারসাম্য রক্ষা করতে সাহায্য করবে। প্রয়োজনে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।