অনেক সিঁদুরেই বিভিন্ন রকম রাসায়নিক রং ব্যবহার করা হয়, আর সেই কারণ সিঁদুর খেলার পর মুখভর্তি ব্রণ দেখা যায় অনেকের। ছবি: সংগৃহীত।
দশমীর দিন সিঁদুর খেলার পর অনেকেরই ত্বকে ব্রণর সমস্যা বেড়ে গিয়েছে। এখন অনেক সিঁদুরেই বিভিন্ন রকম রাসায়নিক রং ব্যবহার করা হয়। আর সেই কারণ সিঁদুর খেলার পর মুখভর্তি ব্রণ দেখা যায় অনেকের। দুই গালে তো বটেই, কপালে, থুতনিতেও ব্রণয় ভর্তি। বাজারের প্রসাধনী ব্যবহার থেকে শুরু করে ঘরোয়া টোটকা— কোনও কিছুতেই কোনও লাভ হচ্ছে না। সে ক্ষেত্রে এক বার রসুন ব্যবহার করে দেখা যেতে পারে। অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল সমৃদ্ধ রসুন যে কোনও ব্যাক্টিরিয়া ঘটিত সংক্রমণ রুখে দিতে পারে। রসুনের অ্যালিসিন নামক রাসায়নিক উপাদান ব্রণ, ফুস্কুড়ি, দাগছোপ থেকেও রেহাই দিতে পারে। এখন কথা হল, রসুন কী ভাবে ব্যবহার করলে ব্রণর সমস্যা কমবে?
১) ত্বক চিকিৎসকদের পরামর্শ, রসুনের দু'টি কোয়া থেঁতো করে নিয়ে তার সঙ্গে অল্প দুধ ও গোলাপজল মিশিয়ে ঘন মিশ্রণ করে নিন। এই মিশ্রণ ব্রণর উপরে চেপে চেপে লাগাতে হবে। চোখে যেন না ঢোকে, খেয়াল রাখবেন। এই ভাবে ১৫-২০ মিনিট রেখে পরিষ্কার জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে তিন থেকে চার দিন করে দেখতে পারেন।
২) অনেক সময়ে ব্রণ মিলিয়ে গেলেও তার দাগ রেখে যায়। এই দাগ ক্রিম বা প্রসাধনী লাগিয়েও যায় না। সে ক্ষেত্রে তিন থেকে চারটি রসুনের কোয়া থেঁতো করে তার সঙ্গে মধু ও অ্যালো ভেরা জেল মিশিয়ে মুখে লাগালে উপকার পেতে পারেন।
৩) রসুন থেঁতো করে তাতে দু’টেবিল চামচ দই মিশিয়ে ব্রণর উপরে লাগিয়ে রাখুন ১০ মিনিট। মিশ্রণটি শুকিয়ে এলে ঠান্ডা জল দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। রসুন ও দই একসঙ্গে ত্বকের মৃত কোষ দূর করে ব্রণ-ফুস্কুড়ির সমস্যা থেকে রেহাই দেবে।