চুলের জেল্লা বাড়াতে কী ভাবে ব্যবহার করবেন কর্পূর? ছবি: ফ্রিপিক।
কর্পূরের বহুগুণ। কেবল পুজোতে নয়, গৃহস্থালির নানা কাজে, এমনকি ত্বক ও চুলের যত্নেও লাগে কর্পূর। কর্পূর গাছের বিজ্ঞানসম্মত নাম ‘সিনামোনান ক্যাম্ফরা’। এই গাছের ছাল থেকেই পাওয়া যায় কর্পূর। ব্যথাবেদনা কমাতে, চুলকানি বা র্যাশের সমস্যায় কর্পূর ব্যবহার করার রীতি অতি প্রাচীন। ত্বক চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, চুলের জন্যও উপকারী কর্পূর। নিয়ম মেনে ব্যবহার করতে পারলে, চুলে পুষ্টি ও বৃদ্ধি দুইই হবে।
চুলের জেল্লা বাড়াতে নানা রকম প্রসাধনী ব্যবহারের চল হয়েছে এখন। বিভিন্ন ধরনের শ্যাম্পু, হেয়ার ক্রিম, হেয়ার জেল বেরিয়ে গিয়েছে। কিন্তু এত রকমের প্রসাধনী যখন ছিল না, তখন চুলের বৃদ্ধির জন্য কর্পূর ব্যবহার করতে অনেকেই। কর্পূরের তেল মাখলে চুলের গোড়া মজবুত হয়, খুশকির সমস্যাও দূর হয়। উকুন দূর করতেও কর্পূরের তেল ব্যবহার করার কথা বলেন বাড়ির বড়রাই।
কর্পূর অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর যা মাথার ত্বকের ব্রণ-র্যাশের সমস্যা দূর করতে পারে। গরমের সময়ে মাথার ত্বকে চুলকানির সমস্যা হয়। তা থেকেও রেহাই দিতে পারে কর্পূর। শুধু তাই নয়, চুল পেকে যাওয়ার সমস্যাও কমাতে পারে কর্পূর।
কর্পূর কী ভাবে ব্যবহার করলে চুল ভাল থাকবে?
কর্পূর গুঁড়ো করে পাউডার বানিয়ে নিতে হবে। এ বার গুঁড়ো কর্পূর যে কোনও ক্যারিয়ার অয়েল যেমন নারকেল তেল বা অলিভ অয়েলে মেশাতে পারেন। নারকেল তেলে কর্পূর মেশালে ভাল কাজ হবে। চুল খুব রুক্ষ ও খসখসে হলে নারকেল তেল ব্যবহার চুল নরম হবে।
এর পর সেই তেল মাথায় মালিশ করে ২০ মিনিট থাকতে হবে। তার পর হালকা কোনও শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিতে হবে। সপ্তাহে ২ দিন ব্যবহার করলেই চুলের স্বাস্থ্য ফিরবে।