কমলের গুণেই চুল হবে কোমল। কী ভাবে ব্যবহার করবেন? ছবি: এআই সহায়তায় প্রণীত।
কেশচর্চার জন্য বাজারচলতি প্রসাধনীর কমতি নেই। তার পরেও ঘরোয়া টোটকা কি কাজের? এই কথা মনে হতে পারে অনেকেরই। তবে এথনও কিন্তু অনেকেই প্রাকৃতিক উপাদানে ভরসা রাখেন।
সেই তালিকায় রয়েছেন বলিউড অভিনেত্রীরাও। বিভিন্ন সময়ে সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রীরা জানিয়েছেন, রূপচর্চায় এখনও তাঁরা মা-ঠাকুরমাদের টোটকা মানেন। সেই তালিকায় কি এবার পদ্মও থাকতে পারে?
কেশচর্চায় জবাফুল, কেশুত পাতা, কারিপাতা, আমলকির কথা শোনা গেলেও, পদ্মের গুণাগুণ নিয়ে তেমন চর্চা নেই। তবে ধীরে ধীরে পদ্মের গুণাগুণ নিয়ে আলোচনা বাড়ছে। ক্রমেই প্রকাশ পাচ্ছে এর নানা প্রাকৃতিক গুণ। আর সে জন্যই এটি নতুন ভাবে রূপচর্চায় ঠাঁই পাচ্ছে। প্রসাধনীর বাজারে নজর রাখলেই তাই দেখা মিলেব পদ্মের তেলের।
পদ্মের বীজ দিয়ে তৈরি মাখানা পুষ্টিগুণের জন্য ইতিমধ্যেই ‘সুপার ফুড’ হিসেবে চিহ্নিত। সুতরাং, ফুলেও প্রয়োজনীয় ভিটামিন, খনিজ মিলবে, তাতে আর আশ্চর্য কী!
কী ভাবে চুলের যত্ন নেবে ফুল?
• পদ্মের নির্যাস দিয়ে তৈরি এসেনশিয়াল অয়েলেও থাকে আয়রন, কপার, ভিটামিন বি এবং সি। মাথার ত্বকের স্বাস্থ্যরক্ষার অপরিহার্য উপাদানগুলি মজুত এই তেলে। ফলে মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন থেকে চুলকানির প্রবণতা কমাতে পদ্মের তেল কার্যকর হতে পারে।
• পদ্মের তেল চুলের গোড়া মজবুত করতে সাহায্য করে। চুল ঝরা বন্ধ হলে ধীরে ধীরে চুলের স্বাস্থ্য ফিরবে স্বাভাবিক ভাবেই। সেই কাজটি করে এই তেল।
• অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর পদ্মের তেল অকালপক্বতা রোধ করে। চুল সুন্দর এবং মসৃণ করে তুলতে সাহায্য করে।
কী ভাবে ব্যবহার করবেন?
এসেনশিয়াল অয়েল সরাসরি ব্যবহার করা যায় না। নারকেল তেল, কাঠবাদামের তেলে তিন ফোঁটা পদ্মের এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে নিন। সপ্তাহে অন্তত তিন দিন চুলের গোড়া থেকে ডগা পর্যন্ত তা মেখে, ১০-১৫ মিনিট মাসাজ করুন। আধ ঘণ্টা পরে চুলে শ্যাম্পু করে নিন। দু’তিন মাস ব্যবহার ধীরে ধীরে বদল চোখে পড়বে।
এসেনশিয়াল অয়েল ব্যবহারের আগে প্যাচ টেস্ট জরুরি। হাতের কোনও অংশে এসেনশিয়াল অয়েল লাগিয়ে ২-৩ ঘণ্টা অপেক্ষা করুন। চুলকানি, জ্বালা, র্যাশ না বেরোলে মাথায় মাখতে পারেন। প্রথম দিনে অল্প পরিমাণে মেখে দেখতে হবে কোনও সমস্যা হচ্ছে কি না। উপকারী উপাদানও কারও কারও ত্বকে সহ্য হয় না। সেটাও মনে রাখা দরকার।