ফুল দিয়ে চুলের চর্চা। ছবি: এআই সহায়তায় প্রণীত।
চুলের যত্ন মানেই স্নানঘর ভর্তি বোতলের ভিড় আর রাসায়নিকের গন্ধ। অথচ একটু চোখ ফেরালেই দেখা যায়, প্রকৃতির মাঝে এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যা কেশচর্চার জন্য বড় উপকারী। বিভিন্ন সংস্থা সেই উপাদানগুলির নাম ব্যবহার করেই পণ্য বিক্রি করছে, কিন্তু আপনি হয়তো সেগুলি হাতের কাছে পেয়েও সরাসরি ব্যবহার করছেন না। আপনার আশেপাশেই লুকিয়ে আছে কেশচর্চার প্রাচীন অথচ প্রাসঙ্গিক সূত্র।
আর সেই উপাদানটি হল, ফুল। ফুলের পাপড়িতে শুধু সৌন্দর্য নয়, আছে চুলের শিকড়কে পুষ্ট করার শক্তি। অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, ভিটামিন ও খনিজে ভরপুর ফুলগুলি কী ভাবে কেশস্বাস্থ্যের জন্য উপকারী?
জবা: চুল ঝরে পড়া কমাতে পারে জবাফুল। চুলকে ঘন, কোমল, লম্বা ও উজ্জ্বল করতে এবং মাথার ত্বক সুস্থ রাখতে পারে জবা। এই ফুলে থাকা অ্যামাইনো অ্যাসিড, ভিটামিন ও অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট চুলের ফলিকলকে শক্তিশালী করে, রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় এবং প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করে। এটি খুশকি ও চুলকানি দূর করতেও সাহায্য করে।
জবাফুলে চুলের উপকার। ছবি: সংগৃহীত।
জুঁই: জবার মতো জুঁইফুলও প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করে চুলের ক্ষেত্রে। এতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট ও পুষ্টি উপাদান মাথার ত্বকের প্রদাহ কমিয়ে ত্বককে শান্ত রাখে, খুশকি ও সংক্রমণ কমায়, চুল পড়া রোধ করে এবং চুলকে রেশমের মতো নরম করে তোলে। জুঁই ফুলের তেল মাখলে চুলের ডগা ফাটার সমস্যাও দূর হয়।
জুঁইফুলের পুষ্টি উপাদান। ছবি: সংগৃহীত।
গোলাপ: গোলাপের পাপড়িতে লুকনো পুষ্টি উপাদানগুলি মাথার খুশকি সারানো থেকে চুলের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে পারে। ভিটামিন এ, বি, সি এবং ই সমৃদ্ধ গোলাপফুল চুলের ফলিকলগুলিকে মজবুত করতে পারে। চুলে প্রাকৃতিক ভাবে ঔজ্জ্বল্য ফেরাতে পারে এই ফুল।
গোলাপ দিয়ে কেশচর্চা। ছবি: সংগৃহীত।