আই প্যাচ ব্যবহারের সঠিক নিয়ম জানা আছে কি? ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
চোখের তলার কালি, ফোলা ভাব দূর করতে রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে ‘আন্ডার আই ক্রিম’ মাখেন অনেকে। তবে তাতে কাজ হয় ধীর গতিতে। চ়টজলদি ফল পেতে ইদানীং অভিনেত্রীদের মধ্যে জনপ্রিয়তা বাড়ছে সিলিকন আই প্যাচের। আলিয়া ভট্ট, কৃতি শ্যানন, সুহানা খান, প্রিয়ঙ্কা চোপড়াদের ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইল খুললে প্রায়ই তাঁদের আই প্যাচ লাগানো ছবি চোখে পড়বে। সম্প্রতি করিনা কপূরও আই প্যাচের প্রেমে পড়েছে। তারকাদের দেখাদেখি আই প্যাচ লাগানোর ট্রেন্ডে গা ভাসাচ্ছেন তরুণীরাও। তবে নতুন নতুন প্রসাধনী কিনে ফেললেই তো হল না, জানতে হবে সঠিক ব্যবহার।
আন্ডার আই প্যাচ হল চোখের নিচের অংশের জন্য এক ধরণের মাস্ক, যা সিরাম বা জেলে ভিজিয়ে রাখা হয়। সেই সিরামে থাকে হায়ালুরোনিক অ্যাসিড, কোলাজেন, ভিটামিন সি, পেপটাইড এবং ক্যাফিনের মতো উপাদান। এই সব উপাদান কালো দাগ, ফোলাভাব, বলিরেখা দূর করতে সাহায়্য করে।
আই প্যাচ কী ভাবে কাজ করে?
সিলিকন প্যাচ চোখের নীচে লাগিয়ে রাখতে হয়। বেশি আরাম পাওয়ার জন্য ব্যবহারের আগে প্যাচটি ফ্রিজে কিছু ক্ষণ রেখে দিতে পারেন। এ বার ত্বক পরিষ্কার করে জন্য ১০-৩০ মিনিট প্যাচটি চোখের তলায় লাগিয়ে রাখতে হবে। আই প্যাচে থাকে হায়ালুরনিক অ্যাসিড, নিয়াসিনামাইড, রেটিনল যা চোখের চারপাশের ত্বকের আর্দ্র ভাব ধরে রাখে।এছাড়া চোখের তলার কালি দূর করে এবং চোখের ফোলা ভাবও কমায়।
আই প্যাচ অনেক রকমের হয়। তাতে সিরাম, ক্রিম বা জেল থাকে। ত্বকের ধরন অনুযায়ী আই প্যাচ কেনা জরুরি। যাঁদের ত্বক খুব শুষ্ক ও স্পর্শকাতর, তাঁরা জেল আই প্যাচ কিনতে পারেন। ত্বক তৈলাক্ত হলে সিরাম দেওয়া আই প্যাচ ভাল। একটি প্যাকেটে ৩০টির মতো প্যাচ থাকে। দাম ৫০০ থেকে হাজারের মধ্যেই।
ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে এবং কোলাজেন উৎপাদনে সহায়তা করে এই প্যাচ। তবে এ দিয়ে চোখের কালি, ফোলা ভাব বা ব্রণ একেবারে দূর করতে চাইলে এক বার ব্যবহার করলে কিন্তু হবে না। সপ্তাহে ২-৩ বার ব্যবহার করতেই হবে।