কয়েকটি টোটকা মেনে রোজ পা পরিষ্কার করতে পারেন ঘরেই। ছবি: সংগৃহীত।
পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা, স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে অতি খুঁতখুঁতে ব্যক্তিও পায়ের কথা ভুলে যান প্রায়শই। স্নানের সময়ে দেহের সব অংশ ধুয়ে সাফ করে ফেললেও দু’টি পা বঞ্চিত হয় বার বার। এ দিকে বন্ধ জুতোর ভিতরে ঘাম জমে পায়ের পাতা, পায়ের আঙুলের মাঝের অংশ, গোড়ালিতে ময়লা জমতে থাকে। তাই সামগ্রিক দেহের পরিচ্ছন্নতার দিকে মন দিলেও লাভ হয় না।
খুব সহজে ছোট্ট কয়েকটি টোটকা মেনে রোজ পা পরিষ্কার করতে পারেন ঘরেই। মাসে এক বার করে পেডিকিয়োর করান বা না করান, প্রতি দিনের এই রুটিন নিজেকে পরিষ্কার রাখার জন্য প্রয়োজনীয়। জেনে নিন নিয়মগুলি।
প্রতি দিন সাবান ও জল দিয়ে পা ধোয়াই আসল মন্ত্র। সাধারণ সরঞ্জাম ব্যবহারেই পায়ের ময়লা এবং ব্যাক্টেরিয়া দূর করা সম্ভব। পা পরিষ্কারের সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর সরঞ্জাম হল, কাপড় (ওয়াশক্লথ) এবং হাত। কিন্তু লুফা ব্যবহার করার অভ্যাস থাকলে, সেটি যত দ্রুত সম্ভব ত্যাগ করা উচিত। কারণ, লুফার জালে ব্যাক্টেরিয়া আটকে থাকতে পারে।
মৃদু অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল বা হালকা সাবান ব্যবহার করলেই কাজ হবে। বিশেষ করে পায়ের আঙুলের মাঝখানে ফেনা তুলে পরিষ্কার করা উচিত। কারণ, এখানেই ব্যাক্টেরিয়া বেশি জমে। ছত্রাকের সংক্রমণ রোধ করার জন্য পা ধোয়ার পর পুরোপুরি শুকিয়ে নিতে হবে। যদি পায়ে দুর্গন্ধ হওয়ার প্রবণতা থাকে, তা হলে টি ট্রি অয়েল বা বেনজ়য়েল পারঅক্সাইডযুক্ত সাবান ব্যাক্টেরিয়া এবং ছত্রাক নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করতে পারে।
হাতে যদি সময় থাকে, তা হলে মসৃণ, কোমল পা পেতে হলে একটু বেশি পরিশ্রম করতে হবে। ছবি: সংগৃহীত।
দিনে কত বার পা ধোয়া উচিত?
সাধারণত, প্রতি দিন এক বার করে পা ধোয়া উচিত। তবে যদি পায়ে ব্যথা, প্রচুর ঘাম বা দুর্গন্ধ হওয়ার প্রবণতা থাকে, দিনে দু’বার পা ধোয়া ভাল। তোয়ালে দিয়ে সম্পূর্ণ শুকিয়ে নিতে হবে তার পর।
হাতে যদি সময় থাকে, তা হলে মসৃণ, কোমল পা পেতে হলে একটু বেশি পরিশ্রম করতে হবে। ত্বকের মৃত কোষ অপসারণের জন্য নিয়মিত এক্সফোলিয়েট করতে পারেন। ভাল ফুট ক্রিম দিয়ে এক্সফোলিয়েট করা এবং ময়েশ্চারাইজ় করা হল সহজ পন্থাগুলির মধ্যে অন্যতম। ময়েশ্চারাইজ় করার পর মোজা পরলে আরও ভাল ফল পেতে পারেন।