পুজো মানেই কেশসজ্জা নিয়ে নানা ভাবনা। চুলে রং করা, কেশসজ্জা দীর্ঘ ক্ষণ ঠিক রাখতে রাসায়নিক স্প্রে, বৈদ্যুতিক যন্ত্রের ব্যবহার, রোদে অনেকটা সময় ঘোরাঘুরির ফলে উৎসবের সময় এমনিতেই চুলের ক্ষতি হয়।
সেই ক্ষতি পূরণ হবে কী ভাবে? কেশচর্চা শিল্পীদের অনেকেই তেল মাসাজে জোর দেন। এ জন্য যে চপচপে করে তেল মেখে রাতভর রাখতে হবে, তা নয়। বরং সঠিক তেল এবং মাসাজেই চুলের স্বাস্থ্য ফেরানো সম্ভব। মাসাজে মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন ভাল হয়, চুলের গোড়া মজবুত হয়। তার ফলে ধীরে ধীরে চুল ঝরা কমে।
কী ভাবে বানাবেন তেল?
তেলের অন্যতম উপাদান হবে আমলকি। ভিটামিন সি,ই এবং অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর ফলটি চুলের জন্য অত্যন্ত ভাল। আমলকি খেলে যেমন শরীর পুষ্টি পায়, চুল ভাল থাকে, তেমন এটি মাখাও যায়। এর সঙ্গে জুড়তে হবে নারকেল তেল, ভৃঙ্গরাজ-সহ কয়েকটি উপকরণ। চুল ভাল রাখতে নারকেল তেলের ব্যবহার বহু দিনের। ভৃঙ্গরাজের মতো ভেষজেও চুল ভাল থাকে।
বানানোর পন্থা
১০০ গ্রাম নারকেল তেল একটি বাটিতে ঢেলে দিন।তার সঙ্গে ২ টেবিল চামচ আমলকির গুঁড়ো অথবা ২টি আমলকি থেঁতো করে তার রস মিশিয়ে দিন। যোগ করুন ১ চা-চামচ ভৃঙ্গরাজ গুঁড়ো এবং মেথিদানা। সমস্ত উপকরণ মিশিয়ে গরম জলের পাত্রের উপর রেখে গরম করে নিন। মাথার ত্বকে তেলটি খুব ভাল করে মাসাজ করে আধ ঘণ্টা রেখে দিন। তার পর মৃদু কোনও শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে কন্ডিশনার ব্যবহার করুন।
মনে রাখা দরকার
· অপরিচ্ছন্ন মাথায় তেল মালিশ অনুচিত। শ্যাম্পু করে চুল শুকিয়ে নিন বা আধভেজা চুলে তা ব্যবহার করুন।
· রাতভর তেল মাখলেই চুল ভাল হয় না। বরং আলতো মাসাজে রক্ত সঞ্চালন ভাল হয়।
· সপ্তাহে তিন দিন তেলটি মাসাজ করলে এক মাসেই ফল বোঝা যাবে।
উপকারিতা
· ধীরে ধীরে চুল ঝরা কমবে।
· চুলের গোড়া শক্ত হবে।
· অকালপক্বতা দূর হবে।