জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ়ের দেহের সুগন্ধের রহস্য। ছবি: সংগৃহীত।
সারা দিন মিঠে সুবাস, তাজা ভাব। শুটিংয়ের পরিশ্রম, রোদবৃষ্টি, ছোটাছুটির পরও জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ়ের শরীরে এত সুগন্ধ! অবশেষে সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে নিজের দেহের সুগন্ধের রহস্য ফাঁস করলেন বলিউডের অভিনেত্রী। জানা গেল, নেপথ্যে রয়েছে ‘সুগন্ধি দুধ’। ঘরোয়া টোটকা প্রয়োগ করে দেহের সুগন্ধ বজায় রাখেন বলে দাবি জ্যাকলিনের।
জ্যাকলিনের এই ‘সুগন্ধি দুধ’ কী ভাবে বানাতে হয়?
বলি তারকা জানালেন, তিনি গরুর দুধের মধ্যে এলাচ, দারচিনি, লবঙ্গ, তারামৌরি, গোলাপের পাতা, আমন্ডের দুধ মেশান। মিষ্টি স্বাদ আনতে এই মিশ্রণে অল্প মেপল সিরাপ ঢেলে দেওয়া হয়। এটি পান করলে শরীরের সেই সব ব্যাক্টেরিয়া মরে যায়, যেগুলি দুর্গন্ধ তৈরি করতে পারে।
‘সুগন্ধি দুধ’ কতটা কার্যকরী?
পুষ্টিবিদ রেশমী রায়চৌধুরীর মতে, এই টোটকার নেপথ্যে জোরদার বৈজ্ঞানিক প্রমাণ হয়তো নেই, কিন্তু পরোক্ষ ভাবে অবশ্যই শরীরের দুর্গন্ধ দূর করতে পারে। তার কারণ, এলাচ, দারচিনি, লবঙ্গ, তারামৌরির মতো মশলায় অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল এবং অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট গুণাগুণ রয়েছে। যা আদপে শরীরে তৈরি হওয়া সে সব ব্যাক্টেরিয়ার বাড়বৃদ্ধিকে রোধ করতে পারে, যেগুলির কারণে দুর্গন্ধ তৈরি হয়। গোলাপের পাপড়ি এমনিতেই প্রাকৃতিক সুগন্ধিযুক্ত। তাই খানিক পরিমাণে দুর্গন্ধ কমাতে পারে। পুষ্টিবিদের কথায়, ‘‘বাইরে থেকে সুগন্ধি স্প্রে করলে গন্ধ সাময়িক ভাবে দূর হতে পারে। কিন্তু আসলে তো শরীরের ভিতরে ব্যাক্টেরিয়া তৈরি হয়েছে। তাই তীব্র গন্ধযুক্ত মশলাগুলি খাবারের মাধ্যমে শরীরের ভিতরে গেলে, দূষিত পদার্থ শরীর থেকে বেরিয়ে যেতে পারে। আর তাদের তীব্র গন্ধ তখন সুগন্ধ হিসেবেই ছড়াতে পারে। ঠিক যে ভাবে ডিটক্স ওয়াটার আমাদের শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বার করে দিতে পারে, সে ভাবেই এটি কাজ করতে পারে।’’
শরীরের দুর্গন্ধ মূলত তখনই তৈরি হয় যখন ঘাম ত্বকে, বাহুমূলে, কুঁচকিতে এবং পায়ের ব্যাক্টেরিয়ার সঙ্গে মেশে। তাই এই সুগন্ধি মশলাগুলি শরীরের ভিতরে গিয়ে শ্বাসপ্রশ্বাসে এবং হজমক্রিয়ায় প্রভাব ফেলতে পারে। তবে সরাসরি দুধ দিয়ে তৈরি পানীয় পান করলেই যে ঘাম বন্ধ হয়ে সুবাস ছড়াবে, এমন নয়। স্বাস্থ্যবিধি না মানলে দুর্গন্ধ রোধ করার ক্ষমতা এই পানীয়ের নেই। এই পানীয় কেবল সহায়ক হতে পারে মাত্র।