অবিকল অটোর মতো দেখতে হাতব্যাগ। ছবি : সংগৃহীত।
দশ-বিশ টাকায় অটো চাপতে পারবেন। কিন্তু সাধ করে যদি হাতে অটোর মতো দেখতে ব্যাগ নিতে চান, তবে সারা জীবনের সঞ্চয় উজাড় করতে হতে পারে। এমনই ব্যাগ বানিয়েছে আন্তর্জাতিক বিলাসী ব্র্যান্ড লুই ভিতোঁ। যেটি দেখতে আদ্যোপান্ত এ দেশীয় অটোর মতো।
পকেট বাঁচানো ‘রকেট গতি’র যান বললে এ দেশে অটোর কথাই সবার আগে মনে আসে। শহর থেকে শহরতলি হয়ে মফস্সল, এমনকি কিছু বর্ধিষ্ণু গ্রামেও অল্প দূরত্বের যাতায়াতের জন্য ওই তিন চাকার গাড়িই বহু মানুষের ভরসা! অবশ্য সেই প্রয়োজন মেটানোর বাইরেও নিজের আলাদা পরিচিতি বানিয়েছে অটো। উজ্জ্বল হলদে-সবুজ বা হলদে-কালো রংমিলন্তির ছোট্ট ওই গাড়ি ভারতের বাইরেও জনপ্রিয় তার ‘একটু অন্যরকম’ আকৃতির জন্য। সেই জনপ্রিয়তা এমনই যে, মুকেশ অম্বানির পুত্রের বিয়েতে অতিথি হয়ে ভারতে এসে অটো চড়ার বায়না ধরেছিলেন হলিউডের তারকা কিম কার্দাশিয়ান। ভারতে এসে অটোয় চাপতে দেখা গিয়েছে মার্কিন পপ গায়ক এড শিরানকেও। কিন্তু প্যারিসের ফ্যাশন সংস্থা লুই ভিতোঁ সেই অটোকে হাই-এন্ড ফ্যাশনে পরিণত করল।
এ ব্যাগ পুরুষ এবং মহিলা উভয়েই নিতে পারেন।
সম্প্রতি ২০২৬ সালের স্প্রিং সামার কালেকশন প্রকাশ্যে এনেছে সংস্থাটি। সেই সম্ভারের অঙ্গ ছিল পুরুষ এবং মহিলা উভয়ের নেওয়ার অটোর মতো দেখতে চামড়ার হাতব্যাগ। যার চাকা থেকে শুরু করে গাড়ির কাচের আবরণ, উজ্জ্বল হলুদ রঙের হুড, এমনকি সামনের নকশাটিও অবিকল অটোরিক্সার মতো। শুধু হলুদের সঙ্গে সবুজ বা কালো রং না-মিলিয়ে ব্যাগটি তৈরি করা হয়েছে লুই ভিতোঁর বৈগ্রহিক মনোগ্রাম নকশার চামড়া দিয়ে।
ব্যাগের ফ্যাশনে ওই মনোগ্রাম নকশার তাৎপর্য কী, তা যাঁরা জানার তাঁরাই জানেন। ওই নকশাটুকু থাকলেই ব্যাগের দাম লাখ টাকা ছাড়ায়। লুই ভিতোঁর তেমনই লাখ টাকার ব্যাগ নিয়ে সংসদে এসে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন বাংলার কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্র। তবে সেই ব্যাগও এই ব্যাগের কাছে নস্যি। লুই ভিতোঁর অটোরিকশা ব্যাগের দাম ৩৫ লক্ষ টাকা!
অটোর মতো দেখতে ব্যাগের দাম শুনে তাই কটাক্ষ করতে শুরু করেছেন ভারতীয়েরা। লুই ভিতোঁর ৩৫ লাখি ব্যাগ দেখে তাঁরা বলছেন, ‘‘ভারতীয়দের কাছে যা জীবনযুদ্ধের সঙ্গী, বিদেশের বড়লোকের কাছে সেটিই দেখনদারি বিলাসের অঙ্গ!’’