নীতা অম্বানী। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
উপলক্ষ, পোশাকশিল্পী মণীশ মলহোত্রের দীপাবলির পার্টি। বলি-নায়িকাদের ভিড়েও নজর কেড়েছিল একজনেরই সাজ। তিনি হলেন শিল্পপতি মুকেশ অম্বানীর ঘরনি, নীতা অম্বানী। পরনে ছিল তাঁর ঝলমলে সিকোয়েন্সের শাড়ি। সেই শাড়ির নকশা করেছেন মণীশ নিজেই।
পোশাকশিল্পী মণীশের নকশায় বেশ কিছু বছর ধরেই সিকোয়েন্সের কারুকাজ চোখে পড়ে। তবে নীতার জন্য মণীশ যে শাড়ির নকশা করেছেন, তা যেন লাখে একটাই হয়। শাড়ি জুড়ে হালকা ও গাঢ় রঙের রুপোলি চুমকির নকশা করা। চুমকিগুলি শাড়ি জুড়ে ‘শেভরন প্যার্টান’-এ বসানো, তাই শাড়িটি দেখনেই মনে হচ্ছে ঠিক যেন রুপোলি ধাতু গলে পড়ছে। শাড়ির পাড় বরাবর হিরের টুকরোর আকারে কাটা আয়নার নকশা। পাড়ে রয়েছে রোজ় গোল্ড রঙের সরু বর্ডার। হাতকাটা রুপোলি ব্লাউজ় দিয়েই শাড়িটি স্টাইল করেছেন নীতা।
আলোর উৎসবে নীতার সাজ ছিল রোশনাইয়ে মোড়া। ছবি: ইনস্টাগ্রাম,
শুধুই কি শাড়ি? নীতার সাজে বিরল গয়নার সম্ভার সবসময়ই আলাদা মাত্রা যোগ করে। কখনও তাঁর আংটিতে দেখা যায় দুষ্প্রাপ্য হিরের ঝলকানি, কখনও তাঁর হলার হারে শোভা পায় বিরলের মধ্যে বিরলতম চুনি। উজ্জ্বল মুক্তো, চোখধাঁধানো হিরে বসানো সব গয়না পরে এক একটি অনুষ্ঠানে অবতীর্ণ হন নীতা! যে সব গয়নার কথা শুধু রাজারাজড়াদের গল্পেই শুনেছেন আমজনতা, ধনকুবের মুকেশ অম্বানীর ঘরনি সেই গয়না পরে হেলায় চোখের সামনে হেঁটে চলে বেড়ান। এ বারেও তার অন্যথা হয়নি। রুপোলি শাড়ির সঙ্গে চোখ ধাঁধানো পান্নার গয়না পরেছেন তিনি। কানে হৃদয়াকৃতির পান্নার দুল, হাতে পান্নার ব্রেসলেট, আর একটা ককটেল রিং। রুপোলি পোশাকের সঙ্গে সবুজ গয়নার যুগলবন্দি ছিল নজরকাড়া।
পোশাকের পাশাপাশি ঘড়ি, ব্যাগ, জুতো নিয়েও যথেষ্ট খুঁতখুঁতে নীতা। তাঁর হ্যান্ডব্যাগের আলমারিতে রয়েছে স্নেল, গোয়ার্ড ও জিমি চু সংস্থার ব্যাগ। যাঁদের প্রত্যেকটির দাম প্রায় কয়েক কোটি টাকা। মণীশের পার্টিতে নীতা নিয়েছিলেন হার্মিস বার্কিনের একটি ছোট রুপোলি রঙের ব্যাগ। ব্যাগের গায়ে কুমিরের চামড়ার মতো নকশা। ব্যাগটির সৌন্দর্য আরও বাড়িয়ে তুলেছে মধ্যমণি হয়ে বসে থাকা একটি বড় হিরে। বিশ্বের সবচেয়ে দামি ব্যাগের প্রসঙ্গ উঠলে সবার আগে মাথায় আসে বার্কিনের নাম। আর নীতা বার্কিনের যে ব্যাগটি নিয়েছেন, সেটি সেই সংস্থার অন্যতম দামি ব্যাগ। যার দাম প্রায় ১৫ কোটি টাকা।
কখনওই চড়া মেকআপ করতে পছন্দ করেন না নীতা। অল্প মেকআপ, চুলে খোঁপার বাঁধনে তাঁর সাজ তবুও ছিল চোখে পড়ার মতো।