হাটের ত্বকের পরিচর্যা করার কিছু উপায়। ছবি: ফ্রিপিক।
মুখের চামড়া টানটান রাখতে যত্নের ত্রুটি রাখেন না অনেকেই। মুখে যাতে বয়সের ছাপ এড়ানো যায়, তার জন্য রোজের রূপচর্চা, নাইট ক্রিম, ডে ক্রিম, ফেশিয়াল— এ সব করেই থাকেন। কিন্তু বয়সের ছাপ কি কেবলই মুখে পড়ে! মুখের দিকে নজর দিতে গিয়ে বাদ পড়ে হাত। ফলে হাতের চামড়া শুকিয়ে খসখসে হয়ে যায়, তাতে বলিরেখাও পড়ে।
মুখের মতো হাতেও সহজে বয়সের ছাপ পড়ে। কারণ, সবচেয়ে সক্রিয় অঙ্গ সেটিই। তাই তার যে পর্যাপ্ত পরিমাণে যত্নের প্রয়োজন আছে, তা বলাই যায়। বরং মুখের চেয়েও হাতের ক্ষেত্রে বেশি যত্নের প্রয়োজন। হাতের ত্বক কুঁচকে থাকা, শিরা উঁচু হয়ে যাওয়া, হাতের চামড়া খসখসে ও রুক্ষ হয়ে যাওয়া বা ত্বক তার টানটান ভাব হারিয়ে ঝুলে যাওয়ার মতো সমস্যা অনেকেরই হয়। অথচ কিছু নিয়ম মানলেই হাতের হাতের ত্বক নিটোল রাখার ও টানটান রাখা সম্ভব। রইল সেই হদিস।
কী ভাবে যত্ন নেবেন হাতের?
রোদে বেরোতেই হবে। সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি আমাদের ত্বককে পুড়িয়ে দেয়। তখন ত্বকে কালচে দাগছোপ পড়তে শুরু করে। তাই বেরোনোর আগে সব সময়ে সানস্ক্রিন লাগাতেই হবে হাতে।
নিয়মিত ময়েশ্চারাইজ়ার ব্যবহার করা জরুরি। অনেকেই মুখের ত্বকের যত্ন নেন, কিন্তু হাতের বেলা করেন অবহেলা। তেমন করলে চলবে না। হাতের আর্দ্রভাব যাতে ধরা থাকে, সে দিকে নজর দিন। রাতে শুতে যাওয়ার আগে গোটা হাতে ভাল করে ময়েশ্চারাইজ়ার লাগিয়ে নিন।
ঘরের কাজ যেমন বাসন মাজা, কাপড় কাচা— এ সব করতে গিয়ে হাতে বেশি ক্ষার লেগে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। এ ক্ষেত্রে হাতে গ্লাভস পরে কাজ করা ভাল।
হাতের ত্বক যদি অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে যায় তাহলে কয়েক ফোঁটা মধু ও অলিভ অয়েল মিশিয়ে, হাতে মাসাজ করে মিনিট পনেরো রেখে ধুয়ে নিন। কয়েক দিনের ব্যবহারে হাতের ত্বক কোমল এবং মসৃণ হবে।
ঘরোয়া উপায়ে বাড়িতেই বানিয়ে নিন টোনার। শসার রসের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা কর্পূর মিশিয়ে হাতে ভাল করে মাসাজ করে নিন। দিনে দু’বার এই টোনার ব্যবহার করতে পারেন। কয়েকদিন ব্যবহারের পরেই দেখবেন হাতের দাগছোপ উঠে গিয়েছে। ত্বকেও ঔজ্জ্বল্য ফিরে এসেছে।