বরফ দিয়ে ফেশিয়াল করবেন কী ভাবে, কিছু পদ্ধতি শিখে নিন। ছবি: এআই।
সালোঁয় গিয়ে মুখের লোম তুললেন, তার পরেই শুরু হল তীব্র জ্বালা ভাব। সঙ্গে সঙ্গে বরফ ঘষলে জ্বালাভাব কমল কিন্তু লালচে হয়ে গেল ত্বক। আরাম পেলেও তখন চিন্তায় পড়তে হয়। আদৌ কি বরফ দেওয়া ঠিক হল তো? ত্বকে বরফ ব্যবহার করা কি উচিত? এখন দেখবেন অনেক তারকাই বরফ দিয়ে ফেশিয়াল করার ছবি ও ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেন। ত্বকের পরিচর্যায় বরফ যদি ঠিক মতো ব্যবহার করা যায়, তা হলে মুখ থেকে বার্ধক্যের ছাপ মুছে যাবে। ত্বকও নরম ও টানটান থাকবেন। তবে বরফ দিয়ে ফেশিয়াল করার কিছু নিয়ম আছে। সেই পদ্ধতি মানলেই উপকার হবে।
‘আইস ফেশিয়াল’ খুব তাড়াতাড়ি মুখের কালচে ভাব দূর করে ত্বক উজ্জ্বল ও জেল্লাদার করে তুলতে পারে ঠিকই, কিন্তু নিয়ম না মেনে মুখে বরফ ঘষলে লাভের চেয়ে ক্ষতিই বেশি হবে। বরফ দিলে সহজেই চোখের ফোলা ভাব কমে। মুখের ফোলা ভাবও কিছুটা কমে যায়। চোখে-মুখে ক্লান্তির ছাপ দূর হয়।
বরফের ফেশিয়াল কী ভাবে করবেন?
বরফ দিয়ে ফেশিয়াল করলে খুব অল্প সময়ের জন্যই ত্বকে বরফ লাগানো উচিত। সুতির কাপড়ে বরফ কুচি ভরে ২ মিনিটের মতো মুখে মালিশ করুন। তার বেশি নয়। কিন্তু যদি বরফজল মুখে ঢালেন, অথবা বরফজলে মুখ ডুবিয়ে বসে থাকেন, তা হলে ত্বক খুব তাড়াতাড়ি শুষ্ক হবে, চামড়া কুঁচকে গিয়ে বলিরেখা পড়তে শুরু করবে মুখে। লালচে র্যাশও দেখা দিতে পারে। তাই মুখে বরফ ঘষলে, তার পরেই ময়শ্চারাইজ়ার লাগিয়ে নিতে হবে।
গ্রিন টি আইস কিউব
গ্রিন টি তৈরি করে তা আইস ট্রে-তে রেখে দিন ঘণ্টা খানেক। ছোট ছোট কিউবগুলি বার করে মুখে, চোখের নীচে ঘষতে হবে। গ্রিন টি-তে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট আছে যা ত্বকের উন্মুক্ত রন্ধ্রের সমস্যা দূর করবে। এতে ত্বকের ফোলা ভাব কমবে এবং ব্রণ-ফুস্কুড়ি থাকলে তা-ও কমে যাবে।
শসার আইস কিউব
প্রথমে শসা ব্লেন্ড করে রস তৈরি করে বরফের ট্রেতে জমিয়ে নিন, তার পর মুখ পরিষ্কার করে বরফের কিউবগুলি পাতলা নরম কাপড়ে পেঁচিয়ে ভাল করে সারা মুখে মালিশ করুন। শসা ত্বকের জন্য খুবই উপকারী, কারণ এতে জল, ভিটামিন (যেমন সি ও ফলিক অ্যাসিড) এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে যা ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখে এবং ত্বককে নরম ও জেল্লাদার করে তোলে।