ছবি : সংগৃহীত।
পুজোর আগে পায়ের নখ কেটে, পা পরিষ্কার করবেন বলে ঠিক করেছেন। মহিলারা পছন্দের নেলপলিশটিও বেছে রেখেছেন হয়তো। কিন্তু জানেন কি পায়ের নখ যখন তখন কাটা যায় না।
মনে হতেই পারে নখ তো নখই। হাতের নখ আর পায়ের নখের তফাত কিসে। কেনই বা পায়ের নখ যখন তখন কাটা যাবে না? রূপচর্চাশিল্পীরা বলছেন, দু’টি নখের চরিত্র আলাদা। হাতের নখের থেকে পায়ের নখ থেকে সংক্রমণ হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। তাই পায়ের নখ কাটার সময় কিছু বিষয়ে অবশ্যই সাবধান থাকা উচিত। এতে পায়ের নখ স্বাস্থ্যকর থাকে এবং সংক্রমণের ঝুঁকি কমে যায়।
নখ কাটার সঠিক পদ্ধতি
১। নখ কাটার আগে হালকা গরম জলে পা ভিজিয়ে নিন। এতে নখ নরম হবে এবং সহজে কাটা যাবে।
২। নখ সবসময় সোজা করে কাটুন। নখকে বেশি কোণাকুণি করে কাটবেন না। এতে নখ ত্বকের ভেতরে ঢুকে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
৩। পায়ের নখ খুব বেশি ছোট করে কাটবেন না। এমনভাবে কাটুন যাতে নখের সাদা অংশ কিছুটা অবশিষ্ট থাকে। নখ বেশি ছোট করে কাটলে সংক্রমণ হতে পারে।
৪। নখ কাটার পর নখের ধারগুলো হালকা করে ফাইল দিয়ে ঘষে মসৃণ করে দিন।
৫। সঠিক যন্ত্র ব্যবহার করুন। পায়ের নখ প্রস্থে মোটা হয়। তাই ওই নখ কাটার জন্য বিশেষ করে তৈরি করা মোটা, শক্ত এবং ধারালো নেল ক্লিপার ব্যবহার করুন। হাতে নখ কাটার ক্লিপার পায়ের নখ কাটার জন্য উপযুক্ত নয়।
কখন নখ কাটা উচিত নয়
১। নখে কোনো সংক্রমণ, লালভাব, বা ব্যথা থাকলে নিজে নখ কাটবেন না।
২। ডায়াবেটিস রোগী বা যাদের পায়ের রক্ত সঞ্চালনজনিত সমস্যা আছে, তাদের ক্ষেত্রে পায়ের নখের যত্ন নেওয়ার জন্য একজন পডিয়াট্রিস্ট (পায়ের চিকিৎসক)-এর পরামর্শ নেওয়া ভালো।
নখ ভাল রাখার টোটকা
১। কাটার পর নেল ক্লিপার এবং অন্যান্য সরঞ্জাম পরিষ্কার করে শুকিয়ে রাখুন।
২। নিয়মিত মোজা পরিবর্তন করুন এবং পরিষ্কার জুতো পরুন।
৩। সংক্রমণ এড়াতে অন্যের ব্যবহৃত নখ কাটার সরঞ্জাম ব্যবহার করবেন না।