জেড রোলার কেন ব্যবহার করা হয়? ছবি: সংগৃহীত।
নায়িকা হোক কিংবা নেটপ্রভাবী, সমজমাধ্যমের দৌলতে এখন তাঁদের রূপচর্চার রুটিন ও পদ্ধতি খুব সহজেই জেনে ফেলা যায়। সৌন্দর্য বৃদ্ধি ও রূপচর্চার জন্য প্রসাধনী থেকে মাসাজের নানা রকম জিনিস ও যন্ত্রের হদিস মেলে সেখান থেকেই। এর মধ্যে বেশ কিছু পণ্য যেমন খুব চেনা, আবার অনেক কিছু এমনও থাকে, যা কারও কাছে বেশ নতুন মনে হয়। সৌন্দর্যবৃদ্ধির জন্য অনেকেই ‘জেড রোলার’ ব্যবহার করতে দেখা যায়। ছোট্ট রোলারটি আদতে জেড পাথরে তৈরি। ঠিক কী লাভ হয় এটি ব্যবহার করলে? কী ভাবেই বা ব্যবহার করতে হয়?
কেন ব্যবহার করবেন?
রোলারে উপর ও নীচে দু’টি ভিন্ন আকারের পাথর এমন ভাবে লাগানো থাকে, যা মুখমণ্ডলে লাগিয়ে হালকা টানলেই পাথরটি ঘুরবে। মাসাজের কাজ করবে। প্রয়োজন অনুযায়ী, যে কোনও একটি দিকের পাথর দিয়ে মুখের বিভিন্ন অংশে মাসাজ করা হয়।
১. ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। যার ফলে, ঔজ্জ্বল্য বাড়ে। প্রতি দিন ৫ মিনিট রোলার ব্যবহার করলেই, ধীরে ধীরে ত্বকের ঔজ্জ্বল্য ফিরবে।
২. মুখে অনেক সময় ফোলাভাব থাকে। চোখের নীচেও থাকে। ‘ফেসিয়াল রোলার’-এর সঠিক ব্যবহারে ফোলাভাব কমে।
৩. যেহেতু এতে রক্ত সঞ্চালন ভাল হয়, তাই ত্বকের বলিরেখা কমে।
৪. জেড পাথরের রোলার ব্যবহারে বেশ আরাম হয়।
কী ভাবে ব্যবহার করবেন?
প্রথমে মুখে কোনও তেল, ক্রিম বা সিরাম মেখে নিতে হবে। এতে রোলার মুখের উপর সুন্দর ভাবে ঘুরবে। তার পর থুতনি থেকে কান পর্যন্ত আলতো চাপ দিয়ে রোলার টানতে হবে। প্রথমে বাঁ কান পর্যন্ত পাঁচ বার, পরে ডান কান পর্যন্ত পাঁচ বার টানুন। রোলার নীচ থেকে উপরে যায়, সে বিষয় সতর্ক থাকুন। দ্বিতীয় ধাপে ঠোঁট থেকে কান পর্যন্ত মাসাজ করুন। বাঁ দিকে পাঁচ বার, ডান দিকে পাঁচবার। এ বার রোলার নীচ থেকে উপরে যাবে।
চোখের মাসাজের সময় ছোট রোলারটি ব্যবহার করতে হবে। চাপ দেওয়া যাবে না। চোখের বন্ধ করে কোণ থেকে শুরু করে পুরোটা হয়ে কানের একটু উপরের অংশ পর্যন্ত। এভাবে দুই চোখে মাসাজ করতে হবে ৫ বার করে। মাসাজ কিন্তু চোখের অংশ থেকেই শুরু হবে, কানের উপরের অংশ থেকে চোখ পর্যন্ত উল্টোপথে মাসাজ করা যাবে না।
কপালে মাসাজের জন্য নীচের অংশ থেকে চুল পর্যন্ত রোলার টানতে হবে।