রেজ়ার দিয়ে রোম তোলার আগে জানতে হবে সঠিক কায়দা। ছবি: সংগৃহীত।
মুখের রোম তোলা বড় কষ্টদায়ক। ওয়াক্সিং হোক বা থ্রেডিং, যাই করুন না কেন, তাতে জ্বালা হবেই। ত্বক স্পর্শকাতর হলে থ্রেডিংয়ের পরে গালে, ঠোঁটের উপরে র্যাশ বেরিয়ে যায় অনেকের। ওয়াক্সিংয়ের যন্ত্রণাও কম নয়। অবাঞ্ছিত রোম তুলতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয়। চটজলদি রোম তুলতে তাই রেজ়ারই ভরসা। কিন্তু রেজ়ার দিয়ে শেভ করলেও অনেকের মুখে র্যাশ বেরিয়ে যায়। তা হলে কী ভাবে হবে মুশকিল আসান? রেজ়ার ব্যবহার করতে হবে নিয়ম মেনে।
রেজ়ার ব্যবহার করার আগে কী কী করবেন বা করবেন না?
১) ত্বকের যত্নে ভাল মানের রেজ়ার ব্যবহার করতে হবে। মুখের রোম তোলার রেজ়ার কিন্তু অন্যান্য রেজ়ারের মতো হয় না। কেনার সময়ে সেই বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে।
২) শেভ করার আগে ভাল করে মুখ পরিষ্কার করে নিতে হবে। ধুলো, ময়লা, মেকআপ কিংবা মুখে অতিরিক্ত তেল কিছুই থাকা চলবে না।
৩) দাড়ি কামানোর আগে পুরুষেরা যেমন মুখে শেভিং ক্রিম বা জেল মাখেন, তেমন প্রসাধনী মেয়েদের জন্যও পাওয়া যায়। রোম তুলে নেওয়ার পর ত্বকের স্পর্শকাতরতা বেড়ে যেতে পারে। র্যাশও বেরোতে পারে। সঙ্গে সঙ্গে ঠান্ডা অ্যালো ভেরা জেল মেখে নিতে পারেন। মুখে বরফও ঘষতে পারেন।
৪) রোমের মুখ যে দিকে রয়েছে, হালকা হাতে সেই অভিমুখেই রেজ়ার চালাতে হবে। উল্টো দিকে টানলে কিন্তু ত্বকের খসখসে ভাব বেড়ে যেতে পারে।
৫) তাড়াহুড়ো থাকলে মুখে রেজ়ার ব্যবহার না করাই ভাল। ধারালো ব্লেডে কেটে যেতে পারে। ত্বকে র্যাশ বা ব্রণর সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। রেজ়ারের ব্লেডের ধার যদি কমে যায়, সে ক্ষেত্রেও কিন্তু ত্বকের সমস্যা দ্বিগুণ হয়ে যাবে। তাই শেভ করার আগে সেই বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে।
৬) শেভ করার পর ত্বক মোলায়েম রাখতে ময়েশ্চারাইজ়ার ব্যবহার করতে ভুললে কিন্তু চলবে না।
৭) স্নানের সময় কিংবা স্নানের পর শেভিং করতে পারেন। এই সময় ত্বক আর্দ্র থাকে, ফলে রোম তুলতে সুবিধা হয়।