হলুদ রঙের শট দিয়ে কেশচর্চা। ছবি: এআই সহায়তায় প্রণীত।
ত্বক এবং স্বাস্থ্য— দুই ক্ষেত্রেই হলুদের জয়জয়কার। প্রাচীন কাল থেকেই হলুদ আয়ুর্বেদেও সমাদৃত। হলুদের বায়োঅ্যাক্টিভ উপাদান কারকিউমিনে রয়েছে শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট ও প্রদাহনাশক বৈশিষ্ট্য। যার ফলে সামগ্রিক ভাবে সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য হলুদ খুব উপকারী। আর শরীর যদি ভিতর থেকে মজবুত হয়, ত্বক যদি স্বাস্থ্যকর হয়, তবে চুলও যে ভাল থাকবে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। তাই কেশচর্চায় হলুদের প্রয়োগ করে দেখা যেতে পারে। উপকার মিলতে পারে। কারকিউমিনের কারণেই মাথার ত্বকে রক্ত চলাচল বাড়ানো এবং চুলের গোড়া মজবুত করার জন্য হলুদ কার্যকরী হতে পারে। হলুদের গুণ মাথার ত্বকের খুশকিও কমাতে পারে। সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে ও হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতেও কাজে আসতে পারে হলুদ। সামগ্রিক ভাবে চুল পড়া রোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে হলুদ।
ঘন আর উজ্জ্বল চুলের শখ সবারই থাকে। দামি প্রসাধনী বা রাসায়নিকের বদলে সামান্য নিয়ম মেনে খেলে হলুদের শট খেলে চুল গজানোর গতি বাড়তে পারে। তবে প্রশ্ন উঠতে পারে, পানীয় বা গুঁড়োর পরিবর্তে শট কেন? সাম্প্রতিক বিভিসময়ে বিভিন্ন ফল, সব্জি, মশলার শট তৈরি করে খাওয়ার প্রথা নজরে আসছে। তার বিশেষ কারণও রয়েছে। সমস্ত উপকরণের ঘনীভূত এক রূপ হল শট। চটজলদি উপকার পাওয়ার জন্যই শট খাওয়ার প্রচলন বেড়েছে।
কী ভাবে হলুদের শট বানাবেন?
উপকরণ
এক চা চামচ হলুদ গুঁড়ো (অথবা কাঁচা হলুদের কুচি)
আধ চা চামচ আদার রস
অর্ধেক লেবুর রস
এক চা চামচ মধু
এক চিমটে গোলমরিচ
আধ কাপ ঈষদোষ্ণ জল
পদ্ধতি
টাটকা কাঁচা হলুদ নিয়ে খোসা ছাড়িয়ে কুচি করে নিন। একটি ছোট গ্লাসে কুচি করা হলুদ ঢেলে দিন। তাতে সমস্ত উপকরণ মিশিয়ে ভাল করে নাড়াচাড়া করে নিন। সঙ্গে সঙ্গেই খেয়ে নিন এই শট। সকালে খালিপেটে খেলে সবচেয়ে ভাল ফল পেতে পারেন। প্রতি দিন এক ছোট গ্লাস হলুদ শট শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বার করে দিতে সাহায্য করবে। ফলে ত্বক ও চুলে আসবে প্রাকৃতিক জেল্লা। নিয়মিত যত্ন ও সঠিক খাদ্যাভ্যাসই উপহার দিতে পারেঘন, মজবুত ও উজ্জ্বল চুল।
চুলের জন্য কী কী ভাবে উপকারী এই শট?
চুল পড়া কমায়: হলুদ প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে এবং মাথার ত্বকের স্বাস্থ্য উন্নত করে। এর ফলে চুল পড়া কমে যায়।
চুল গজানোর গতি বাড়ে: রক্ত সঞ্চালন এবং পুষ্টি সরবরাহ ভাল হয় বলে চুলের গোড়া মজবুত হয়।
খুশকি কমায়: হলুদের অ্যান্টিফাঙ্গাল এবং অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল বৈশিষ্ট্য মাথার ত্বককে সংক্রমণ থেকে দূরে রাখে।
হরমোনের ভারসাম্য রক্ষা করে: হলুদ হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখে। ফলে মানসিক চাপ বা পিসিওএসের কারণে চুল পাতলা হয়ে যাওয়া রোগীদের জন্য উপকারী।
কোলাজেন উৎপাদন বৃদ্ধি করে: হলুদের কারকিউমিন উপাদানটি কোলাজেন উৎপাদন বাড়াতে পারে বলে চুলের গোড়া ভিতর থেকে মজবুত হয়।