শ্যাম্পু করার নয়া পদ্ধতি। ছবি: সংগৃহীত।
মাথার ত্বক যদি উর্বর না হয়, তবে চুল গজাবে কেমন করে? তাই মাথার ত্বকের যত্ন নেওয়ার অত্যন্ত জরুরি! এমনই ভাবনায় বিশ্বাসী জাপান। সে দেশে চুল ধোয়ার সময়ে প্রয়োগ করা হয় এক বিশেষ পন্থা। এই পন্থায় চুল নয়, মাথার ত্বককে গুরুত্ব দেওয়া হয়। জাপানি সালোঁর একাধিক ভ্লগে চোখ রাখলে দেখা যাবে, মাথা ধোয়ার সময়ে চুল আঁচড়ানোর চল রয়েছে। সাধারণ আঁচড়ানো নয়। সিলিকনের নরম দাঁতযুক্ত ব্রাশ দিয়ে ত্বকে বোলানো হয়। তাতে মালিশের পাশাপাশি আঁচড়ানোর কাজও হয়ে যায়। ফলে দিনে একাধিক বার চুল আঁচড়ানোও হয়ে যায়।
সালোঁতে গেলে দেখা যাবে শ্যাম্পুর সময়ে হেয়ারব্রাশ দিয়ে মাথার দু’পাশে একই গতিতে আলতো চাপে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে মাসাজ করা হয় মাথার ত্বকে। এতে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়, মাথার ত্বক পরিষ্কারও থাকে। মাথার পিছন দিক থেকে মাসাজ শুরু করে তালুতে এসে পৌঁছোতে হবে। মাথার তালু, অর্থাৎ মধ্য ভাগই সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ, কারণ একাধিক স্নায়ুর এসে মিশেছে সেখানে। চাইলে মাসাজ করার ওই হেয়ারব্রাশের মধ্যেই শ্যাম্পু ঢেলে নেওয়া যায়, তাতে আরও গভীর ভাবে মাথার ত্বক পরিষ্কার হবে।
জাপানি পদ্ধতিতে শ্যাম্পু করতে পারেন। ছবি: সংগৃহীত।
চুল গজানো থেকে শুরু করে মাথার ত্বকের চাপমুক্তি, এমন অনেক কিছুর সমাধান মিলতে পারে জাপানিদের শ্যাম্পুর পদ্ধতিতে। এতে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে, মৃত কোষ পরিষ্কার হয় এবং নতুন চুল গজানোর জন্য সুস্থ পরিবেশ তৈরি হয়।
শ্যাম্পু ধুয়ে ফেলার পর গোড়া বাদ দিয়ে বাকি চুলে কন্ডিশনার বা হালকা তেল লাগাতে হয়। এর পর তুলোর তৈরি টি-শার্ট বা মাইক্রোফাইবার তোয়ালে দিয়ে আলতো চেপে চেপে জল শুকিয়ে নিতে হয়। ড্রায়ারের গরম হাওয়া চুলের কিউটিকল ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তাই তা এড়িয়ে যাওয়াই ভাল।
শ্যাম্পু ছাড়াও মাথার ত্বকের যত্নের জন্য তেলে বিশেষ ভরসা রয়েছে জাপানিদের। শ্যাম্পু করার আগেই কেবলমাত্র তেল মালিশ করা হয়, তা নয়। রোজই চুলে তেল দেওয়া হয়।শ্যাম্পুর আগে হোক বা পরে, মাথার ত্বককে পুষ্টি জোগানোর জন্য তেল মালিশের আলাদা গুরুত্ব রয়েছে সে দেশে।
জাপানিদের কেশচর্চার বিশেষ রুটিনের সারকথা একটিই— মাথার ত্বক যত সুস্থ থাকবে, চুল তত মজবুত, ঘন ও উজ্জ্বল হবে।