বালতি হোক বা বাথটব, স্নানের জলে বোমা ফাটিয়েছেন কখনও? ছবি: এআই। ছবি: এআই।
স্নানের বালতিতে ‘বোমা’ ফাটিয়েছেন কখনও? এ বিস্ফোরণ আতঙ্কের নয়, বরং সুখকর। বালতি হোক, বা বাথটব, স্নানের ঠিক আগে বোমা ফেলে দিন। দেখবেন, স্নানের জল মুহূর্তে পাল্টে যাচ্ছে। বোমা ফেটে বুদ্বুদ তৈরি হয়ে নানা রং মিশে যাচ্ছে জলে। স্নানঘর ভরে উঠছে সুগন্ধে। কী রয়েছে সেই বোমার ভিতর? ত্বকের জন্য উপকারী সমস্ত উপাদান। এগুলিকে বলা হয় ‘বাথ বম্ব’।
এমন স্নানের উদ্দেশ্য কিন্তু কেবল বিনোদন নয়, ত্বকচর্চার জন্যেও উপকারী এই ‘বাথ বম্ব’। আপনিও নিজেই বাড়িতে বানাতে পারেন রংবেরঙের এই বলগুলি বা ‘বোমা’গুলি। বাইরের দেশে বাথটবেই বেশি ব্যবহৃত হয় এগুলি। তবে এ দেশে স্নানের বালতিতেও ব্যবহার করতে পারবেন আপনি। মজাদার, রঙিন, সুগন্ধি স্নানের সঙ্গে ত্বকের উপকার করবে, ভারাক্রান্ত মনকে হালকা করবে, স্নানকে উপভোগ্য করে তুলবে।
কী ভাবে বানাতে হয় এই ‘বাথ বম্ব’? ছবি: সংগৃহীত।
কী ভাবে বানাতে হয় এই ‘বাথ বম্ব’—
উপকরণ
১০০ গ্রাম সোডিয়াম বাইকার্বোনেট
৫০ গ্রাম সাইট্রিক অ্যাসিড
২৫ গ্রাম কর্নফ্লাওয়ার
২ টেবিল চামচ তেল (সূর্যমুখী, নারকেল বা জলপাই তেল)
১/৪ চা চামচ এসেনশিয়াল অয়েল (অরেঞ্জ, ল্যাভেন্ডার বা ক্যামোমাইল)
কয়েক ফোঁটা খাবারে দেওয়ার রং
কমলালেবুর খোসা, ল্যাভেন্ডার বা গোলাপের পাপড়ি (ইচ্ছে হলে দিতে পারেন)
২৫ গ্রাম এপসম লবণ (ইচ্ছে হলে দিতে পারেন)
প্লাস্টিকের একটি গোল ছাঁচ
প্রণালী
একটি বড় পাত্রে সোডা, সাইট্রিক অ্যাসিড, কর্নফ্লাওয়ার এবং এপসম লবণ মিশিয়ে ভাল করে ফেটিয়ে নিতে হবে, যত ক্ষণ না মিহি ভাবে মিশে যায়। অন্য দিকে একটি ছোট পাত্রে সূর্যমুখী, নারকেল বা জলপাইয়ের তেল নিয়ে তাতে এসেনশিয়াল অয়েল, খাবারে দেওয়ার রং মিশিয়ে দিন। ভাল করে নাড়তে হবে অনেক ক্ষণ। এ বার ছোট পাত্রের এই তেলের মিশ্রণ বড় পাত্রে ঢেলে দিতে হবে ধীরে ধীরে। এক বার করে ঢেলে সঙ্গে সঙ্গে ফেটিয়ে নিতে হবে। এ ভাবে সবটা তেল ঢালার পর সঙ্গে সঙ্গে কয়েক ফোঁটা জল মিশিয়ে আবার ফেটিয়ে নিন। মিশ্রণটি এমন হতে হবে, যাতে আপনি হাত দিয়ে চেপে চেপে তৈরি করলে বলের আকার নিতে পারে।
বলগুলি সাজানোর জন্য কমলালেবুর খোসা বা গোলাপের পাপড়ি ব্যবহার করতে চান? মিশ্রণটি দিয়ে প্লাস্টিকের ছাঁচটি ভরে ফেলুন। এ বার এক হাত দিয়ে শক্ত করে চেপে ধরে অন্য এবং হাতে চামচ নিয়ে উপরের অংশটি মসৃণ করে ফেলতে হবে চেপে চেপে। এ বার বলগুলি সেই ছাঁচে শুকোতে দিন। প্রায় ২-৪ ঘণ্টা পর আলতো করে ছাঁচটি কেটে ফেলুন, বা ছাঁচ থেকে বলটি বার করে নিন। তৈরি হয়ে গেল আপনার ‘বাথ বম্ব’। এ বার জলে বলগুলি ফেলে দিলে সেগুলি ফেটে বুদ্বুদ তৈরি করবে। স্নানঘর সুগন্ধে ভরে উঠবে, স্নানের জল রঙিন হয়ে যাবে। এ বার দুর্দান্ত এক আরামদায়ক স্নান উপভোগ করুন। এ ধরনের স্নান একই সঙ্গে মজাদার এবং ত্বকের জন্য উপকারী। কারণ, বলের উপাদনগুলি দেহের সংস্পর্শে এলে সেগুলির গুণাগুণ ত্বকে পুষ্টি জোগান দেবে।