Unhealthy Scalp Risk

সকালের তাড়াহুড়োয় ভিজে চুল বাঁধা যাবে না বলে মাথায় জলই দিচ্ছেন না? ফল কী হতে পারে?

বাঁধার তাগিদে চুল ভেজান না অনেকে। কারও আবার সময়েরও অভাব হয়। টানা কয়েক দিন চুল না ধুলে কোনও সমস্যা হবে কি?

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৫:২২
Share:

নিয়ম করে চুল না ধুলে কী হতে পারে? ছবি: ফ্রিপিক।

শীতের দিনে সকালবেলা স্নান করাটা কারও কারও কাছে বেশ কঠিনই। তা ছাড়া তাড়াহুড়োর সময় স্নান করলেও ভিজে চুল বাঁধার হ্যাপা থাকেই। কেশসজ্জা শিল্পীরাও বলেন, ভিজে চুল না বাঁধাই ভাল। এতে মাথার গোড়ায় ব্যাক্টেরিয়া সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে, গোড়া আলগা হয়ে চুল পড়তেও পারে।

Advertisement

তাই নিয়ম করে জল দিয়ে মাথা ভেজানই না? শ্যাম্পু করতে সপ্তাহ পেরিয়ে যায়? এমন অভ্যাস চুলের পক্ষে আদৌ ভাল কি? ত্বকের রোগের চিকিৎসকেরা বলছেন, অনেকে মুখ-চুলের যত্নে এটা-ওটা মাখায় গুরুত্ব দিলেও নিয়ম করে মাথার ত্বক পরিষ্কার করেন না। নিয়ম করে চুল ধোয়া বা মাথা পরিষ্কার করার খেসারত দিতে হতে পারে নানা ভাবে।

দিল্লিনিবাসী ত্বকের রোগের চিকিৎসক শিখা খারে এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, কোন কোন সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন এমন ক্ষেত্রে।

Advertisement

১। চুলের মসৃণতা বজায় রাখতে মাথার ত্বক থেকে সেবাম নামে তেল নিঃসৃত হয়। এটি চুলকে নরম, মসৃণ রাখে। চুলের আর্দ্রতা বজায় থাকে। তবে নিয়ম করে চুল না ধুলে বা মাথার ত্বকের পরিচ্ছন্নতা বজায় না রাখলে ধুলো, ময়লার সঙ্গে সেবাম যুক্ত হয়ে তেলচিটে হয়ে যাবে মাথা। তা থেকে ব্যাক্টেরিয়ার বাড়বৃদ্ধি হতে পারে। চুলও ঝরতে পারে।

২। অপরিচ্ছন্ন মাথার ত্বকে ডেমোডেক্স মাইট্‌স নামে অণুজীবের সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে পারে। এমনিতে এটি ততটা ক্ষতিকর নয়। তবে এর সংখ্যা বেড়ে গেলে তা চুলের পক্ষে ক্ষতিকর হয়ে ওঠে। মাথার ত্বকে চুলকানি, ত্বক লাল হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। এমনকি, চুল ঝরতেও পারে।

আর কোন ঝুঁকি বাড়ে?

· সেবাম এবং ময়লা জমে চুলের ফলিকলের মুখ বন্ধ করে দিতে পারে। ত্বক তৈলাক্ত হয়ে ব্রণের সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে। মাথার ত্বকেও ব্রণ হতে পারে।

· চুল থেকে বিশ্রী গন্ধ বেরোয়। নোংরা মাথার ত্বকে, রোগজীবাণুর আক্রমণে এমন হতে পারে।

· নোংরা মাথার ত্বক থেকে নানা ধরনের সংক্রমণের আশঙ্কা বাড়ে। মাথার ত্বক থেকে সাদা ছাল উঠতে পারে, যার নাম সেবোরিয়াক ডার্মাটাইটিস। তা ছাড়া ছত্রাকজনিত অসুখের ঝুঁকি তৈরি হয়।

· অপরিচ্ছন্ন ত্বকের সংক্রমণ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে যায়। তার ফলে সংক্রমণের ঝুঁকি আরও বাড়ে।

মাথার ত্বক কী ভাবে পরিষ্কার রাখা দরকার?

· মাথার ত্বক তেলতেলে হলে, খুশকির সমস্যা হলে এক দিন অন্তর চুল ধোয়া জরুরি। নিয়ম করে সপ্তাহে এক বা দু’দিন সঠিক শ্যাম্পু প্রয়োগ করতে পারে। ক্ষতিকর রাসায়নিক রয়েছে, এমন শ্যাম্পু এড়িয়ে যাওয়া ভাল।

· চুলের ধরন শুষ্ক হলে মাথার ত্বক তুলনামূলক ভাবে কম নোংরা হয়। এ ক্ষেত্রে কত দিন অন্তর চুল ধোয়া দরকার, তার কোনও নির্দিষ্ট নিয়ম না থাকলেও মাথার ত্বক পরিচ্ছন্ন রাখা জরুরি। এ ক্ষেত্রে মৃদু শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হবে।

· শ্যাম্পুর অধিক ব্যবহারও চুলের ক্ষতি করে। চুল রুক্ষ হয়ে যেতে পারে। ফলে সপ্তাহে এক থেকে দু’বার শ্যাম্পুর ব্যবহারই যথেষ্ট।

· ২-৩ মাসে এক বার অন্তত মাথার ত্বক এক্সফোলিয়েশন করা গেলে অর্থাৎ গভীর ভাবে পরিষ্কার করলে ভাল। এতে সংক্রমণের ঝুঁকি কমে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement