ছবি : সংগৃহীত।
শীতের বাজারে তো বটেই সারা বছরই পাওয়া যায় টম্যাটো। অথচ তা রান্নায় যতটা ব্যবহার করা হয়, কাঁচা ততটা খাওয়া হয় না। স্যালাডে ব্যবহার করা ছাড়া সে ভাবে কাঁচা টম্যাটো খান না অধিকাংশেই। তার কারণও আছে। টম্যাটোর স্বাদ টক। তা কাঁচা খেতে অন্য ফলের মতো ভাল লাগে না। তাই ত্বকের জন্য উপকারী জেনেও অনেকেই টম্যাটো বেটে মুখে লাগান, কিন্তু খান না। দিল্লির এক পুষ্টিবিদ শিল্পা আরোরা জানাচ্ছেন, টম্যাটোয় যে পুষ্টি উপাদান, বিশেষ করে ভিটামিন সি এবং লাইকোপেন রয়েছে, তা খেলে উপকার বেশি। শীতে যখন ত্বক রুক্ষ হয়ে যায়, আর্দ্রতা এবং ঔজ্জ্বল্য হারায়, তখন রোজ একটি করে টম্যাটো খেলে শীতেও ত্বক ভাল থাকবে। ঠিক কী কী উপকার হতে পারে রোজ একটা করে কাঁচা টম্যাটো খেলে তা-ও জানিয়েছেন শিল্পা।
ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়ে
টম্যাটোতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে, যা কোলাজেন উৎপাদন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। কোলাজেন ত্বকের টানটান ও স্থিতিস্থাপক ভাব বজায় রাখে এবং ত্বকে ঔজ্জ্বল্য আনে। এটি ত্বকের কালচে ছোপ এবং পিগমেন্টেশন কমাতেও সাহায্য করতে পারে।
বলিরেখা কমে
টম্যাটোতে থাকা শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট লড়াই করে ফ্রি র্যাডিক্যালস-এর সঙ্গে। এই ফ্রি র্যাডিক্যালস ত্বকের কোষের ক্ষতি করে এবং দ্রুত বার্ধক্যের ছাপ ফেলে। ত্বকে দৃশ্যমান হয় বলিরেখা। লাইকোপিন ত্বককে অতিবেগনি রশ্মির ক্ষতি থেকে বাঁচায়। ফলে বলিরেখা পড়ে কম।
সতেজ থাকে ত্বক
টম্যাটোয় জলের ভাগ থাকে বেশি, যা ত্বককে আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে। ফলে শীতকালে শুষ্কতার সমস্যা কমে। এতে থাকা ভিটামিন এ, বি, এবং পটাশিয়াম ত্বককে সুস্থ এবং সতেজ রাখতে সাহায্য করে।
ব্রণ ও তেলতেলে ভাব কমে
টম্যাটোতে রয়েছে প্রাকৃতিক অ্যাস্ট্রিনজেন্ট, যা ত্বকের অতিরিক্ত সিবাম নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে এবং লোমকূপ পরিষ্কার রাখে। ফলে ব্রণ এবং ব্ল্যাকহেডস-এর সমস্যা কমে।
মৃতকোষ দূর হয়
টম্যাটোতে থাকা প্রাকৃতিক অ্যাসিড এবং এনজাইমগুলি ত্বকের মৃতকোষ দূর করতে সাহায্য করে। ফলে ত্বক হয় মসৃণ এবং উজ্জ্বল।