Skin Care Tips

টোনার থেকে সিরামে যোগ হচ্ছে গ্লাইকোলিক অ্যাসিড, ত্বকের জেল্লা ফেরাতে তা কতটা কাজের?

প্রসাধনীর বাজারে গ্লাইকোলিক অ্যাসিড যুক্ত সিরাম, টোনার বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। জিনিসটি কী, কেনই বা মাখবেন?

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৯ মে ২০২৫ ১৮:৩২
Share:

গ্লাইকোলিক অ্যাসিডযুক্ত সিরাম কেন মাখবেন? ছবি:ফ্রিপিক।

রুক্ষ ত্বক, কালচে ভাব, বলিরেখা— ত্বকের হরেক সমস্যার সমাধানের জন্য প্রয়োজন সঠিক পরিচর্যা, সে কথা বুঝেছেন অনেকেই। ত্বকের ধরন, প্রয়োজন অনুযায়ী প্রসাধনীতেও বদল এসেছে। নায়াসিনামাইড, ভিটামিন সি, রেটিনল— এই ধরনের শব্দগুলির সঙ্গে পরিচিত হয়ে উঠেছেন অনেকেই। এই তালিকায় রয়েছে গ্লাইকোলিক অ্যাসিড। সিরাম থেকে টোনার বিভিন্ন প্রসাধনীতে বিভিন্ন মাত্রায় গ্লাইকোলিক অ্যাসিডের উপস্থিতি চোখে পড়ে এখন। কিন্তু কেন এটি ব্যবহার হয়, কোন ধরনের ত্বকের জন্য প্রয়োজন, তা জানেন কি? কেনই বা বেছে নেবেন গ্লাইকোলিক অ্যাসিড যুক্ত সিরাম?

Advertisement

গ্লাইকোলিক অ্যাসিড হল এমন একটি যৌগ যা বিট, একাধিক ফল, আখের রসে মেলে। এটি গন্ধহীন এবং বর্ণহীনও। এটি এক ধরনের আলফা হাইড্রক্সি অ্যাসিড।

ত্বকের ক্ষেত্রে উপকারিতা

Advertisement

ব্রণ: ব্রণের চিকিৎসায় (আলফা হাইড্রক্সি অ্যাসিড) এএইচএ ব্যবহার হয়। এতে থাকা উপাদান ত্বকের রন্ধ্রমুখ উন্মুক্ত করতে সাহায্য করে। মৃতকোষ, তেল-ময়লা দূর করতে সাহায্য করে।

ত্বকের বর্ম: ২০২০ সালে ‘জার্নাল অফ কসমেটিক ডার্মাটোলজি’-তে প্রকাশিত গবেষণা বলছে, গ্লাইকোলিক অ্যাসিড সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মির প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ত্বক পুনরুজ্জীবিত করতে সাহায্য করে। কোলাজেন উৎপাদন বৃদ্ধি করে।

বলিরেখা: বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে ত্বকের তারুণ্য কমতে থাকে। ত্বকে কালচে ভাব, বলিরেখা দেখা দেয়। বলিরেখা কমিয়ে ত্বক টানটান করতেও সাহায্য করে গ্লাইকোলিক অ্যাসিড।

জেল্লা ফেরাতে, সুন্দর ত্বক পেতে কী ভাবে মাখবেন গ্লাইকোলিক অ্যাসিড?

ত্বকপরিচর্যা শিল্পীদের পরামর্শ, শুরুটা ধীরে করাই ভাল। যে প্রসাধনীতে স্বল্প পরিমাণে গ্লাইকোলিক অ্যাসিড, তেমন প্রসাধনী বেছে নেওয়া যেতে পারে।

এক্সফোলিয়েশন: এক্সফোলিয়েশন অর্থাৎ, ত্বক থেকে মৃত কোষ ঝরানোর জন্য গ্লাইকোলিক অ্যাসিড যুক্ত স্ক্রাব ব্যবহার করা যেতে পারে। ব্রণের সমস্যা থাকলে বা কালচে ত্বকের জন্য এটি উপযুক্ত। তবে নিয়মিত নয়, সপ্তাহে এক দিন এই ধরনের স্ক্রাব মাখতে পারেন।

টোনার: টোনার ত্বক টানটান রাখতে সাহায্য করে। গ্লাইকোলিক অ্যাসিডযুক্ত টোনারও পাওয়া যায়। ত্বকের পিএইচ মাত্রা বজায় রাখার জন্য, কালচে ভাব দূর করতে এটি কার্যকর।

সিরাম: ত্বকের গভীরে গিয়ে মুখ সুন্দর এবং মসৃণ রাখতে সাহায্য করে সিরাম। নানা রকম সিরামের নানা রকম কাজ। কোনওটি বলিরেখা কমায়, কোনওটি মুখের আর্দ্রতা ধরে রাখে। গ্লাইকোলিক অ্যাসিডযুক্ত সিরাম শুধু কালচে ছোপ দূর করে না, বলিরেখা কমাতেও সহায়ক।

ময়েশ্চারাইজ়ার: গ্লাইকোলিক অ্যাসিডযুক্ত সিরাম ব্যবহার করলে ময়েশ্চারাইজ়ার মাখা জরুরি। এই উপাদান ত্বক কিছুটা শুষ্ক করে তোলে। সে কারণে ময়েশ্চারাইজ়ার ব্যবহার প্রয়োজন।

প্রতিবেদনটি সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা। রূপচর্চায় যে কোনও নতুন প্রসাধনী বা বিশেষ উপাদান নিয়মিত ব্যবহার করতে হলে ত্বকের চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement