চুলের যত্ন কী ভাবে নেবেন? ছবি: এআই সহায়তায় প্রণীত।
এক ঢাল ঘন কেশ কি এখনও স্বপ্নই রয়ে গিয়েছে? প্রতি দিন চিরুনির সঙ্গে গোছা গোছা চুল উঠতে দেখে নীরবে সেই স্বপ্নেরই মৃত্যু হচ্ছে?
তা হলে বরং নিয়ম করে চুল ধুয়ে নিন বীজ ভেজানো জল দিয়ে। চুলের জন্য চিয়া, তিসি বীজের ব্যবহার নতুন নয়। তবে সেই তালিকায় নাম লেখাতে পারে তুলসীর বীজও। লোকমুখে বীজটি ‘সবজা’ নামে পরিচিত।
চুলের বেড়ে ওঠার জন্য শুধু বাইরে থেকে পরিচর্যাই যথেষ্ট নয়, দরকার হয় এমন সব পুষ্টি উপাদানের যা লাগে যৎসামান্যই, কিন্তু শরীরের জন্য অপরিহার্য। তুলসী বীজ ফাইবার ভিটামিন এবং খনিজে পরিপূর্ণ। এই বীজে মেলে আয়রন এবং ম্যাগনেশিয়াম। দুই খনিজই চুলের বেড়ে ওঠার জন্য জরুরি। মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে চুলের গোড়া মজবুত করতে সাহায্য করে সাহায্য করে উপাদান দু’টি। প্রদাহ এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমায়। মাথার ত্বকে পুষ্টি জোগায়।
চুল ধোয়ার নিয়মকানুন
২ টেবিল চামচ তুলসী বীজ দুই থেকে তিন বড় গ্লাস জলে ভিজিয়ে নিন। রাতভর ভিজিয়ে রাখার পরে শ্যাম্পু করা চুল জল দিয়ে ধুয়ে নেওয়ার পরে এই জল মাথায় ঢালুন। হালকা হাতে মাসাজ় করে ১৫-২০মিনিট রেখে আবার ভাল করে জল দিয়ে ধুয়ে নিন।
তুলসী বীজের সিরাম
তুলসী বীজে আঁচ কমিয়ে জলে ফুটিয়ে নিতে হবে। তার পরে সেটি পরিষ্কার কাপড়ের সাহায্যে ছেঁকে নিন। পিচ্ছিল, ঘন যে তরলটি মিলবে সেটাই আঙুলের সাহায্য শ্যাম্পু করার পরে মাথার ত্বকে সিঁথি কেটে লাগাতে হবে। প্রতিটি চুলে তা যেন লাগে। মিনিট পাঁচেক মাসাজ়ের পর আরও ১৫ মিনিট তা মাথায় বসতে দিন। তার পরে ধুয়ে ফেলুন।
মাস্ক
তুলসী বীজ রাতভর জলে ভিজিয়ে কাপড়ের সাহায্যে ক্বাত্থ বার করে নিন। এর সঙ্গে নারকেল তেল এবং অ্যালো ভেরা জেল মিশিয়ে ক্রিম বানিয়ে ফেলুন। শ্যাম্পু করার পরে মাথার ত্বক থেকে প্রতিটি চুলে তা মেখে মাসাজ করতে হবে। মিনিট ২০ পরে ধুয়ে নিলেই হবে। চুল হবে মোলায়েম, মসৃণ।