শীতকালে বাতাসের আর্দ্রতা কমে যাওয়ায় ত্বক দ্রুত শুষ্ক হয়ে যায়, যার ফলে মুখে সূক্ষ্ম রেখা বা বলিরেখা বেশি স্পষ্ট হয়ে ওঠে। প্রাকৃতিক তেলের পুষ্টিগুণ ত্বকের এই রুক্ষতা দূর করে বলিরেখা কমাতে দারুণ কার্যকর।
কী ভাবে তেল ব্যবহার করবেন?
১. নারকেল তেল ও ভিটামিন-ই ক্যাপসুল
নারকেল তেল ত্বকের গভীর থেকে আর্দ্রতা জোগায় এবং ভিটামিন-ই কোলাজেন উৎপাদন বাড়িয়ে ত্বককে টানটান রাখে।
পদ্ধতি: এক চামচ খাঁটি নারকেল তেলের সঙ্গে একটি ভিটামিন-ই ক্যাপসুলের তেল মিশিয়ে নিন।
ব্যবহার: রাতে ঘুমানোর আগে মুখ ভাল করে ধুয়ে এই মিশ্রণটি দিয়ে ৫-১০ মিনিট হালকা হাতে ম্যাসাজ করুন। সারারাত মুখে রেখে দিন। এটি ত্বকের ইলাস্টিসিটি ধরে রাখতে সাহায্য করে।
২. অলিভ অয়েল ও মধুর ম্যাসাজ প্যাক
অলিভ অয়েলে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট এবং ওমেগা ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে যা বার্ধক্যের ছাপ রোধ করে।
পদ্ধতি: এক চামচ অলিভ অয়েলের সঙ্গে আধা চামচ মধু মিশিয়ে নিন।
ব্যবহার: মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর কুসুম গরম জলে মুখ ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২-৩ দিন এটি ব্যবহারে ত্বকের খসখসে ভাব দূর হবে এবং বলিরেখা কমবে।
৩. আমন্ড অয়েল ও গোলাপ জলের সিরাম
আমন্ড অয়েলে থাকা ভিটামিন-এ এবং ভিটামিন-ই ত্বকের কোষ পুনর্গঠনে সাহায্য করে।
পদ্ধতি: কয়েক ফোঁটা আমন্ড অয়েলের সঙ্গে সামান্য গোলাপ জল মিশিয়ে একটি হালকা সিরাম তৈরি করুন।
ব্যবহার: স্নানের পর বা রাতে ঘুমানোর আগে এটি সিরাম হিসেবে মুখে লাগান। আমন্ড অয়েল ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে এবং চোখের নিচের বলিরেখা এবং কালচে ভাব বা 'ডার্ক সার্কেল' কমাতেও বেশ কার্যকর।