অভিনেত্রী শোলাঙ্কি রায়। ছবি: সংগৃহীত।
পুজো আসতে আর মাত্র হাতে গোনা কয়েকটি দিন। শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে পুজোর বাজার। সকলেই ব্যস্ততার মাঝেই পুজোর কেনাকাটার জন্য সময় বের করছেন। অভিনেত্রী শোলাঙ্কি রায়ও সেই দলেই রয়েছেন। পুজোর কেনাকাটা নিয়ে কী মত তাঁর?
পুজোর কেনাকাটার প্রসঙ্গ উঠতেই শোলাঙ্কির মনে ভিড় করে একরাশ স্মৃতিমেদুরতা। ছোটবেলায় পরিবারের সকলের থেকে পাওয়া অর্থ একসঙ্গে নিয়ে বাবা-মায়ের সঙ্গে পুজোর কেনাকাটা করতে যেতেন শোলাঙ্কি। অভিনেত্রী বলছিলেন, ‘‘সারা বছর কেনাকাটা বেড়েছে বলে বেশ কয়েক বছর আর এই ভাবে পুজোর কেনাকাটা করা হয় না।’’ কিন্তু সেই সব দিনের স্মৃতি আজও তাঁর মনে অমলিন। অতীত হাতড়ে শোলাঙ্কি বললেন, ‘‘নিউ মার্কেটে বাজার করার পর ‘আমিনিয়া’, ‘বাদশা’ বা স্কুপ-এ মায়ের সঙ্গে খাওয়াটা ছিল বাধ্যতামূলক।’’
এখন পেশাগত কারণে শোলাঙ্কির ব্যস্ততা বেড়েছে। পুজো দোরগোড়ায়। লাগাতার শুটিংয়ের এর পাশাপাশি নতুন ধারাবাহিক নিয়ে প্রস্তুতি নিতে হচ্ছে তাঁকে। তাই এখনও শোলাঙ্কি কেনাকাটার জন্য সময় বার করতে পারেননি। অভিনেত্রীর কথায়, ‘‘কিছু জামা কেনা ছিল। মা কয়েকটা কিনে দিয়েছেন। এর পর দেখা যাক, সময় বার করতে পারি কি না।’’ পোশাকের ক্ষেত্রে শোলাঙ্কি নিজে অনলাইনে কেনাকাটা করতে বিশেষ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন না। কারণ জামার সঠিক মাপ নিয়ে অভিনেত্রী বেশ খুঁতখুঁতে। জানালেন, তিনি দোকানে গিয়ে দেখে পছন্দ করেই কেনাকাটা করতেই আগ্রহী।
পুজোর দিনে শাড়ি পরতে পছন্দ করেন শোলাঙ্কি। ছবি: সংগৃহীত।
সারা বছর পোশাক নিয়ে পরীক্ষা-নীরিক্ষা করলেও পুজোর দিনগুলিতে মূলত শাড়ি পরার চেষ্টা করেন শোলাঙ্কি। পুজোর দিনে সকালে কর্মসূত্রে তাঁকে ঘুরে বেড়াতে হয়। তাই শাড়ি পরলে সুবিধা হয়। হাসতে হাসতে বললেন, ‘‘এ বছর এখনও ২টো নতুন শাড়ি রয়েছে। অর্থাৎ দু’দিন কোনও সমস্যা হবে না।’’
নিজের জন্য সময় না পেলেও বাড়ির সকলের জন্য নিজের হাতে কেনা জিনিসই পুজোয় উপহার দিতে পছন্দ করেন শোলাঙ্কি। তবে এ ক্ষেত্রে অভিনেত্রীর নিজস্ব কৌশল রয়েছে। সেটা কী রকম? শোলাঙ্কি বললেন, ‘‘যদি দেখি পুজোয় কিছু কেনার সময় হল না, তখন ছোটদের হাতে টাকা দিয়ে দিই। তা-ও না হলে আমি সেই পরিকল্পনাটা কালীপুজোয় করে ফেলি।’’ বাঙালিদের মধ্যে কালীপুজোয় অন্যকে নতুন পোশাক বিশেষ দেওয়ার রীতি নেই। শোলাঙ্কির মতে, তাই সেই সময়ে কিছু কিনে দিলে সকলে খুশিই হন। বললেন, ‘‘বড়দের সব সময়েই কিছু কিনে দেওয়ার চেষ্টা করি। আসলে এখন সকলেই অনলাইনে কেনাকাটায় অভ্যস্ত। কিন্তু পছন্দ করে নিজের হাতে কিছু কিনে দেওয়ার যে মাহাত্ম্য, তার কোনও বিকল্প নেই।’’