চালু হয়েও ফের বন্ধ হল রায়গঞ্জের সিসিইউ

চালু হওয়ার তিন সপ্তাহ পেরোতেই চিকিৎসকের অভাবে রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালের ক্রিটিকাল কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ) বন্ধ করে দিলেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বুধবার দুপুরে সিসিইউতে চিকিত্সাধীন দু’জন রোগী মৃত্যু হওয়ার পর সেটি অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়। যদিও সরাসরি সিসিইউ বন্ধ করে দেওয়ার বিষয়টি মানতে চাননি হাসপাতালের সুপার অনুপ হাজরা। তিনি বলেন, ‘‘চিকিৎসকের অভাবে সিসিইউতে পরিষেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। আপাতত সিসিইউতে রোগীদের ভর্তি বন্ধ রাখা হয়েছে। সমস্যার কথা হাসপাতালের তরফে জেলা স্বাস্থ্য দফতরকে জানানো হয়েছে।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রায়গঞ্জ শেষ আপডেট: ০৪ জুন ২০১৫ ০২:৩২
Share:

চালু হওয়ার তিন সপ্তাহ পেরোতেই চিকিৎসকের অভাবে রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালের ক্রিটিকাল কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ) বন্ধ করে দিলেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বুধবার দুপুরে সিসিইউতে চিকিত্সাধীন দু’জন রোগী মৃত্যু হওয়ার পর সেটি অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়। যদিও সরাসরি সিসিইউ বন্ধ করে দেওয়ার বিষয়টি মানতে চাননি হাসপাতালের সুপার অনুপ হাজরা। তিনি বলেন, ‘‘চিকিৎসকের অভাবে সিসিইউতে পরিষেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। আপাতত সিসিইউতে রোগীদের ভর্তি বন্ধ রাখা হয়েছে। সমস্যার কথা হাসপাতালের তরফে জেলা স্বাস্থ্য দফতরকে জানানো হয়েছে।’’

Advertisement

উত্তর দিনাজপুরের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রঞ্জনকুমার মজুমদার অবশ্য স্পষ্ট বলেছেন, চিকিৎসকের অভাবে সাময়িক সমস্যা তৈরি হওয়ায় সিসিইউ আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। ডালখোলা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের এক জন চিকিৎসককে বদলি করে খুব দ্রুত সিসিইউ চালুর চেষ্টা চলছে।

উল্লেখ্য, গত ১২মে নবনির্মিত ওই সিসিইউর ঘটা করে উদ্বোধন করেন রাজ্যের পরিষদীয় সচিব অমল আচার্য। পরিকাঠামোর অভাবে গত প্রায় সাত বছর ধরে হাসপাতালের ইন্টেনসিভ কেয়ার ইউনিটটি (আইসিইউ) বন্ধ হয়ে রয়েছে। ফলে সিসিইউ চালু হওয়ার আগে প্রতিদিনই হৃদরোগে আক্রান্ত ও আশঙ্কাজনক রোগীদের উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে রেফার করে দিতেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ১২ শয্যার ওই সিসিইউতে ৪ জন প্রশিক্ষিত চিকিত্সক, ৮ জন নার্স, ৪ জন চতুর্থ শ্রেণির কর্মী ও একজন সাফাইকর্মীকে নিয়োগ করা হয়েছিল। চালু হওয়ার দিন থেকেই শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ওই সিসিইউতে চিকিত্সার একাধিক আধুনিক যন্ত্র সামগ্রী চালু করা হয়।

Advertisement

হাসপাতাল সূত্রের খবর, চালু হওয়ার সময়ে সিসিইউতে চার জন চিকিৎসক নিয়োগ করা হলেও একজন ছাড়া কেউ কাজে যোগ দেননি। বাকি তিন জন চিকিৎসকের মধ্যে এক জন কিছু দিন ধরে অসুস্থ থাকায় কাজে যোগ দিতে পারছেন না। এক জন চিকিৎসক মঙ্গলবার সরকারি প্রশিক্ষণ নিতে কলকাতায় চলে গিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে এক জনের পক্ষে সিসিইউতে ২৪ ঘন্টা পরিষেবা দেওয়া সম্ভব নয় বলে বুঝতে পেরে এদিন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সিসিইউটি বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।

জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা হাসপাতালের রোগীকল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান অমল আচার্যের দাবি, তিনি সিসিইউ বন্ধ হয়ে যাওয়ার বিষয়টি তিনি জানেন না। তাঁর কথায়, ‘‘আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি। যদি সত্যিই চিকিৎসকের অভাবে সিসিইউ বন্ধ হয়ে যায়, তা হলে নিশ্চয়ই পদক্ষেপ করব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন