Real-Life Cupid

বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে স্পষ্ট হচ্ছে ভালবাসার চিহ্ন, শিশুর জন্মদাগ দেখে অবাক চিকিৎসকও

শরীরে অনেকেরই জন্মদাগ থাকে। কিন্তু সেই দাগ ভালবাসার কথা বলে কি?

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

মুম্বই শেষ আপডেট: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৫:১৩
Share:

‘ভালবাসা’-র জন্মদাগ। ছবি- সংগৃহীত

জন্মের সময়ে শরীরে কোনও অংশে তিল বা জরুলের মতো জন্মদাগ থাকা স্বাভাবিক। বছর খানেক আগে পৃথিবীর আলো দেখা জর্জিয়া ওয়েলচের ক্ষেত্রেও অন্যথা হয়নি। কিন্তু তার জন্মদাগ হয়ে ওঠে চর্চার কেন্দ্রবিন্দু। কারণ, ভালবাসার ‘লাল চিহ্ন’ গায়ে নিয়েই জন্মেছিল সে।

Advertisement

শিশুটির মা, জেনি এবং তাঁর সঙ্গী জয়ি প্রথম বার তাঁদের সন্তানের পেটে থাকা এই চিহ্ন দেখে চমকে উঠেছিলেন। হুবহু হৃদয়ের চিহ্নের মতো। লাল রঙের ওই দাগ দেখে তাঁরা ভেবেছিলেন, বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বোধ হয় তা মিলিয়ে যাবে। কিন্তু তা তো নয়ই, উল্টে এক বছর আগের দাগের চেয়ে তা আরও গাঢ় হয়েছে। জেনি বলেন, “জন্মের পর প্রথম এক আয়ার চোখে পড়ে ওই দাগ। তখন সামান্য ছোট্ট, লাল দাগ ছাড়া কিছুই তেমন বোঝা যায়নি। কিন্তু বেশ কিছু দিন পর দেখি তা হৃদয়ের আকার ধারণ করতে শুরু করেছে এবং আগের চেয়ে দেখতেও বড় লাগছে।”

জর্জিয়ার চিকিৎসকও নাকি জীবনে প্রথম বার দেখছেন এমন জন্মদাগ। প্রথমটায় তিনিও দেখে বুঝতে পারেননি। তাঁরও মনে হয়েছিল বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এই দাগ মিলিয়ে যাবে। কিন্তু তা হয়নি। জর্জিয়া যেমন বড় হচ্ছে, তেমনই বাড়ছে এই দাগ।

Advertisement

জর্জিয়ার মা জেনির কাছে এই দাগ এতটাই প্রিয় যে, তিনিও নিজের শরীরে, পেটের ঠিক ওই জায়গাতেই এক রকম দেখতে একটি ট্যাটু করাবেন বলে স্থির করেছেন।

২০২২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি জন্ম হয় জর্জিয়ার। তার পর থেকেই সমাজমাধ্যমে উষ্ণতা ছড়াচ্ছে খুদের শরীরের ওই ছবি। সমাজমাধ্যমে ওই ছবি ছড়িয়ে পড়া মাত্রই জর্জিয়া অনেকেরই ভালবাসা পেয়েছে। কিন্তু অনেকের মনেই সন্দেহের উদ্রেক হয়েছে। ভেবেছেন, এমন দাগ জন্মগত হতে পারে না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন