Kid Complains Against Parents

নিরন্তর পড়াশোনার জন্য চাপ দিয়ে যাচ্ছেন মা-বাবা, অতিষ্ঠ হয়ে পুলিশের দ্বারস্থ কিশোর

প্রতিযোগিতার বাজারে দশ জনের মধ্যে এক জন হয়ে উঠতে গেলে মধ্যমেধার হলে চলবে না। কিন্তু পড়াশোনার এই বাড়তি চাপ নেওয়ার ক্ষমতা তো সকলের থাকে না। যেমন ছিল না চিনের এক কিশোরের।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ জানুয়ারি ২০২৪ ১৫:৪০
Share:

মা-বাবার নামে পুলিশে অভিযোগ করল ছেলে। ছবি: সংগৃহীত।

‘মা গো, আমায় ছুটি দিতে বল, সকাল থেকে পড়েছি যে মেলা।’ সেই কবে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছিলেন। একবিংশ শতাব্দীতে সেই অবস্থা যে কোন পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছে গিয়েছে তার একটি ছোট্ট উদাহরণ দেওয়া যাক। সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রায় সব অভিভাবকের মনেই চিন্তা থাকে। ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল করতে তাই ছোট থেকেই পড়াশোনার উপর জোর দেন তাঁরা। প্রতিযোগিতার বাজারে দশ জনের মধ্যে এক জন হয়ে উঠতে গেলে সাধারণ মানের বা মধ্যমেধার হলে চলবে না। কিন্তু পড়াশোনার এই বাড়তি চাপ নেওয়ার ক্ষমতা তো সকলের থাকে না। সেই চাপ সহ্য করতে না পেরে মা-বাবার নামে অভিযোগ করতে পুলিশের দ্বারস্থ হয় এক কিশোর। সেই ঘটনাই সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে সম্প্রতি। ঘটনা চিনের হুবেই প্রদেশের।

Advertisement

সংবাদমাধ্যমের একটি প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, পড়াশ‌োনার অতিরিক্ত চাপ সহ্য করতে না পেরে ক্রমশ মানসিক ভাবে ভেঙে পড়ছিল সে। খাওয়াদাওয়া, খেলাধুলোতেও মন ছিল না তার। এই বিষয়ে বার বার সতর্ক করা সত্ত্বেও কোনও ভাবেই ওই কিশোরের মা-বাবা, তার কথায় কান দেয়নি। শেষে বাধ্য হয়ে বাবা-মায়ের নামে স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করতে যায় ওই কিশোর। সে জানিয়েছে, স্কুলের পর রোজই টিউশন থাকে তার। সেখানেই অতিরিক্ত ক্লাসের ব্যবস্থা করেন তার অভিভাবক। শুধু তা-ই নয়, সপ্তাহান্তে স্কুল ছুটি থাকলেও মা-বাবা টিউশনে যেতে বাধ্য করেন তাকে। ফল হিতে বিপরীত হয়। পড়াশোনায় মনোযোগ তো থাকেই না। উল্টে এই অতিরিক্ত চাপে মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে সে।

সে আরও জানায়, পড়াশোনায় সে ভাল। প্রতি বছর পরীক্ষায় ভাল ফল করে। তা সত্ত্বেও মা-বাবা তার উপর সমানে চাপ দিয়ে চলেছেন। অভিযোগ পেয়েই ওই কিশোরের অভিভাবকের সঙ্গে কথা বলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুলিশ।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন