পাতা থেকে গাছ

সমস্যা থাকলেও সমাধানের নাম প্রপ্যাগেশন। সহজ করে বললে, গাছের পাতা থেকেই জন্ম নেবে গাছ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ এপ্রিল ২০১৯ ০০:৫৩
Share:

এ বার পাতা থেকেই জন্মাবে গাছ।

মহুল বাড়িতে প্রায়ই চারাগাছ আনেন, কিন্তু একটাও বাঁচে না। মেঘলা আবার নার্সারিতে গাছ কিনতে গিয়ে পিছিয়ে এসেছেন। এক একটি চারাগাছের দাম শুনলে আঁতকে উঠতে হয় বইকি! মধুরিমার সমস্যাটা অন্য। অনলাইনে অর্ডার দিয়ে বীজ কিনে এনেছিলেন। কিন্তু বীজগুলি গাছ হয়ে জন্মানোর আগেই মরে গিয়েছে।

Advertisement

সমস্যা থাকলেও সমাধানের নাম প্রপ্যাগেশন। সহজ করে বললে, গাছের পাতা থেকেই জন্ম নেবে গাছ। এতে আপনার বীজ কেনা, নার্সারিতে অতিরিক্ত টাকা খরচ করার সমস্যা নেই।

এমন অনেক ইনডোর প্ল্যান্ট আছে, যারা অল্প যত্নআত্তিতে তরতরিয়ে বেড়ে ওঠে। তাদের চাহিদাও বেশ। যেমন স্নেক প্ল্যান্ট, সিঙ্গোনিয়াম, মানি প্ল্যান্ট বা পোথোস ইত্যাদি। গাছ ধরেই বিস্তারিত আলোচনা করা যাক।

Advertisement

স্নেক প্ল্যান্ট: একটি স্নেক প্ল্যান্ট থেকে পাতা কেটে নিন। যতটা সম্ভব গোড়ার দিক থেকে পাতা কাটলে ভাল। এ বার এক গ্লাস পরিষ্কার জলে সেই পাতার বৃন্ত ডুবিয়ে রাখুন। দেখবেন সপ্তাহ তিনেক পরেই শিকড় গজিয়েছে। তার পর টবের মাটিতে শিকড়-সহ চারা পুঁতে দিলেই হল। অনেকেই পাতা কেটে সরাসরি মাটিতে বসানোও পছন্দ করেন।

সিঙ্গোনিয়াম: স্নেক প্ল্যান্টের মতোই জনপ্রিয় সিঙ্গোনিয়াম। এটিও বাতাসের দূষণ কমায়। স্নেক প্ল্যান্টের মতোই সিঙ্গোনিয়ামের পাতাও জলে ডুবিয়ে রাখতে পারেন। খেয়াল রাখতে হবে, এ ক্ষেত্রে পাতা কাটবেন নোড এরিয়া থেকে। মানে কাণ্ডের ঠিক যে জায়গা থেকে পাতা জন্মায়। স্বল্প আলো এবং মাঝারি আলোয় সিঙ্গোনিয়াম ভাল থাকে।

মানি প্ল্যান্ট: খুব সহজে বেড়ে ওঠে এবং নানা ঘাত-প্রতিঘাত সহ্য করতে পারে বলে মানি প্ল্যান্ট বা পোথোস সকলেরই প্রিয়। এ ক্ষেত্রেও নোড এরিয়া থেকেই পাতা কেটে নিন। আসলে এই অংশে গ্রোথ হরমোন থাকে। পাতা কেটে নিলে সেই হরমোন ক্ষরণ হয় এবং পাতা থেকে চারাগাছ জন্মাতে সাহায্য করে।

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

সাকিউলেন্ট: একই ভাবে প্রপ্যাগেট করা যায় সাকিউলেন্ট। তবে পাতা না কেটে আলতো করে টুইস্ট করুন। পাতা আপনা-আপনিই ছিঁড়ে আসবে। সাকিউলেন্টের নীচের দিকে বড় পাতা থেকে প্রপ্যাগেট করা ভাল। কারণ সেই পাতার বয়স বেশি এবং তা থেকে চারাগাছ জন্মায় তাড়াতাড়ি। পাতা ছিঁড়ে শুকনো অবস্থায় ছায়ায় দু’-তিন দিন রেখে দিন। এতে পাতার ক্ষত সেরে উঠবে। একটি টবে স্যান্ড, কোকো পিট, পারলাইটের মিশ্রণ ছড়িয়ে দিন। উপরে সুন্দর করে সাজিয়ে রাখুন পাতা। একই টবে নানা ধরনের সাকিউলেন্টের পাতা ডিজ়াইন করে রাখতে পারেন। টবে রোজ জল দিন। তবে অতিরিক্ত জল জমে পাতা পচে যাওয়ারও সম্ভাবনা থাকে। তাই স্প্রেয়ার দিয়ে জল দেওয়াই ভাল। ৪৫ দিন পরে দেখবেন, পাতা থেকেই জন্মেছে ছোট ছোট সাকিউলেন্ট।

তা হলে গাছের জন্য আর বীজ নয়, একটি পাতাই যথেষ্ট।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন