শিশুর সামনে ঝগড়া করবেন না

অঙ্কন আর অঙ্কিতা পিঠোপিঠি ভাই-বোন। দু’জনের ঝগড়া লেগেই আছে। দু’বছরের বড় অঙ্কনই ঝগড়াটা বেশি করে। শুধু বোন নয়, বাবা-মা, অন্য গুরুজনদের সঙ্গেও পাল্লা দিয়ে ঝগড়া করে অঙ্কন।

Advertisement
শেষ আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০১৫ ১৪:২৭
Share:

আপনার সন্তান কি কথায় কথায় ঝগড়া করে? রইল কিছু পরামর্শ। সাক্ষাৎকার: দেবাঞ্জনা ভট্টাচার্য।

Advertisement

অঙ্কন আর অঙ্কিতা পিঠোপিঠি ভাই-বোন। দু’জনের ঝগড়া লেগেই আছে। দু’বছরের বড় অঙ্কনই ঝগড়াটা বেশি করে। শুধু বোন নয়, বাবা-মা, অন্য গুরুজনদের সঙ্গেও পাল্লা দিয়ে ঝগড়া করে অঙ্কন। ছ’বছরের ছেলেকে কী ভাবে সামলাবেন বুঝে উঠতে পারেন না বাবা-মা।

সমবয়সী ভাই-বোনের মধ্যে খুনসুটি, ঝগড়া একদম স্বাভাবিক— জানালেন শিশু মনস্তত্ত্ব বিশেষজ্ঞ হিরণ্ময় সাহা। তবে শিশু যদি সব বিষয় নিয়েই ঝগড়া করে, সকলের সঙ্গে রাগত স্বরে কথা বলে তা হলে বিষয়টিতে গুরুত্ব দেওয়া উচিত।

Advertisement

ঝগড়া হল মতবিরোধ। আপনার সন্তানের কোনও কিছুই কেন মনমতো হচ্ছে না সেটা খুঁটিয়ে দেখুন।

সন্তানের ইচ্ছেতে সব সময় বাধা দেবেন না। হয়তো পড়ার সময় ও খেলতে চাইল, মাঝেমধ্যে সেটাও করতে দিন। না হলে রাগ পুষে রাখবে। আর তার বহিঃপ্রকাশ হবে ঝগড়ায়।

বাচ্চারা নানা বিষয়ে নালিশ করে। সব সময় গুরুত্ব দিলে ওরা উৎসাহিত হবে, বাড়বে ঝগড়ার প্রবণতা।

ভাই-বোনের পরস্পরের সঙ্গে সময় কাটাতে ইচ্ছে না-ই করতে পারে। এ ক্ষেত্রে জোর করবেন না।

ছোট পরিবারে দীর্ঘ সময় একা কাটায় শিশুরা। মনে ক্ষোভ জন্মায়। বাচ্চার সঙ্গে বেশি করে সময় কাটান।

বাচ্চাকে বকাবকি করার সময় নিজের মেজাজ কখনওই হারাবেন না। শিশু কিন্তু দেখে দেখেই শেখে।

গল্পের ছলে সন্তানকে বোঝান ভালবাসা দিয়েই সব জয় করা যায়। সমস্যায় পড়লে সব সময় ঝগড়া করার প্রয়োজন নেই।

ঝগড়ুটে মানুষকে কেউ পছন্দ করে না এটাও সন্তানকে বোঝান।

শিশুকে সহনশীল হতে শেখান। চারপাশের অনেক কিছুই আমাদের পছন্দসই হয় না। কিন্তু তার মানেই যে চূড়ান্ত প্রতিক্রিয়া জানাতে হবে এমন নয়।

ঝগড়া করার সময় বাচ্চা যুক্তি দিচ্ছে কিনা খেয়াল করুন। হতে পারে ওর মধ্যে ভবিষ্যতের যুক্তিবাদী-তার্কিক লুকিয়ে আছে। সে ক্ষেত্রে ওর মন অন্য দিকে চালিত করতে হবে।

এ ক্ষেত্রে বাবা-মার আচরণ সংযত হওয়া ভীষণ জরুরি। সন্তানের সামনে নিজেদের মধ্যে ঝগড়াঝাঁটি করবেন না। এতে শিশুমনে বিরূপ প্রভাব পড়ে।

শিশুর ঝগড়া করার প্রবণতা মাত্রাতিরিক্ত হলে ওকে ধ্যান করতে শেখান। এতে মন শান্ত হবে।

সন্তানের সু-অভ্যাস গড়ে তোলাও জরুরি। ভাল সিনেমা, গান, গল্প— এই সবের সঙ্গে শিশুকে বড় হতে দিন। ঝগড়া করার ইচ্ছেটেই আর হবে না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন