Food

ম্যাগি-র এমন নাম হল কেন জানেন?

হাল্কা খিদের মুখে অনেকেই তো ম্যাগি চেখে দেখেছেন। বা স্যান্ডউইচে কামড় বসিয়েছেন। কিন্তু, জানেন কি ম্যাগি বা স্যান্ডউইচের নামের পিছনের গল্প?

Advertisement
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ৩০ ডিসেম্বর ২০১৭ ১২:২০
Share:
০১ ০৭

হাল্কা খিদের মুখে অনেকেই তো ম্যাগি চেখে দেখেছেন। বা স্যান্ডউইচে কামড় বসিয়েছেন। কিন্তু, জানেন কি ম্যাগি বা স্যান্ডউইচের নামের পিছনের গল্প? কেন এমন নাম হল এগুলির? সে সব জানতে এক বার তাকানো যাক গ্যালারির পাতায়।

০২ ০৭

নাচোস কী তা জানেন তো! মেস্কিকোর এই খাবার এখন কলকাতার মানুষজনের বেশ প্রিয়। আসলে ফ্রায়েড তোরতিয়ার মধ্যে ঝুরি ঝুরি করে চেডার চিজ, য়েলাপিনো আর নানা রঙের বেলপেপার দিয়ে বেশ মাখো মাখো করে বানানো হয় নাচোস। মেক্সিকান শেফ ইগনাশিও আনায়ার নামে নামকরণ হয় ‘নাচোস’-এর। সালটা ১৯৪৩। কেন? কারণ, আনায়ার ডাকনাম ছিল নাচোস।

Advertisement
০৩ ০৭

ম্যাগি: চটজলদি খাবার হিসেবে ম্যাগির জনপ্রিয়তার ধারেকাছে আর কেউ আসতে পারবে কি? মনে হয় না। তা সেই ম্যাগি নামটা এসেছে জুলিয়াস মাইকেল জোহানেস ম্যাগি-র নাম থেকে। কল-কারাখানার মজুরদের জন্য ঝটপট তৈরি করা যায় এমন কোনও স্বাস্থ্যকর খাবারের কথা ভেবেছিলেন জুলিয়াস। সেই ভাবনা থেকেই ১৮৮৬-এ ম্যাগি স্যুপ আর প্রি-কুকড ফু়ড বানিয়ে সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন তিনি।

০৪ ০৭

স্যান্ডউইচ: ঘটনা আঠারো শতকের। তাস খেলতে খেলতে টুকটাক কিছু খেতে চেয়েছিলেন ইংল্যান্ডের স্যান্ডউইচ শহরের চতুর্থ আর্ল জন মন্টাগু। আবার তাস খেলার এমনই নেশা যে তা-ও বন্ধ রাখতে পারছিলেন না। ফলে ওই তাস খেলার ফাঁকেই দুটো পাউরুটির স্লাইসে ঠান্ডা মাংসের টুকরো পুরে বানানো হয়েছিল জন মন্টাগুর খাবার। আজকাল যাকে স্যান্ডউইচ বলেই জানি আমরা।

০৫ ০৭

টুন্ডে কে কাবাব: লখনউয়ের নবাবের জন্য ১৬০টি মশলা মাখিয়ে তৈরি হয়েছিল টুন্ডে কে কাবাব। এমনই নরম, তুলতুলে যা মুখে দিলেই গলে যাবে। কারণ, দন্তহীন নবাব যে কাবাব চিবিয়ে খেতে পারবেন না! এক হাতবিহীন সেই শেফ হাজি মুরাদ আলির নামেই ছড়িয়ে পড়ে এই কাবাবের সুখ্যাতি।

০৬ ০৭

সিজার সালাড: ইতালি থেকে আমেরিকায় পাড়ি গিয়ে বেশ কয়েকটা রেস্তরাঁ খুলে বসেছিলেন সিজার কারদিনি। মেক্সিকোতেও তাঁর কয়েকটা রেস্তরাঁ ছিল। ১৯২৪-এ কিচেনে লেফ্টওভার ফুড দিয়েই তৈরি হয় একটি অন্য ধরনের সালাড। নাম দেওয়া হয় সিজার সালাড।

০৭ ০৭

ব্লাডি মেরি নাম নিয়ে নানা মুনির নানা মত রয়েছে। তবে সবচেয়ে জনপ্রিয় গল্পটা হল খানিকটা এ রকম... সালটা ১৯২১। প্যারিসের একটি বার-এ ভদকা, টোম্যাটো জুস দিয়ে দারুণ লাল রঙের ককটেল তৈরি করে ফেললেন ফেরনো পেতিওঁ। কিন্তু ককটেলের নাম কী রাখবেন তা ভেবেই সারা। সামনে বসা এক যুবক পনেরো শতকের ইংল্যান্ডের রানি প্রথম মেরির নামে ওই ককটেলের নাম দিলেন ব্লাডি মেরি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
Advertisement
আরও গ্যালারি
Advertisement