এ যেন বাস্তব জীবনের ‘হেমলক সোসাইটি’।
দীর্ঘদিন ধরেই অবসাদে ভুগছিল বছর চব্বিশের মেয়েটা। বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে রোজকার ঝামেলা, অশান্তি। বয়ফ্রেন্ড চাকরি পাওয়ার পর থেকেই কেমন যেন বদলে গিয়েছে তাঁদের সম্পর্কটা। এখন রোজই ব্রেকআপের কথা। একটা সময় অসহ্য লাগছিল তাঁর। ইচ্ছা হচ্ছিল নিজেকে শেষ করে দেওয়ার।
কিন্তু কী ভাবে করবে আত্মহত্যা? খবরের কাগজে রোজই দেখে গলায় দড়ি, বিষ খাওয়া, মেট্রোয় ঝাঁপ, গায়ে আগুন কত রকম ভাবেই না নিজের জীবন শেষ করে দিচ্ছে লোকে। কিন্তু ঠিক কোন পদ্ধতিটা বেছে নিলে সহজে মরা যায় সেটাই বুঝতে পারছিল না সে। মনে যে কোনও প্রশ্ন এলে স্মার্টফোনের জানলা খুলে গুগলের শরণাপন্ন হতেই অভ্যস্ত সেই মেয়ে। মাথায় বুদ্ধি এল। তা হলে তো গুগলকেই প্রশ্নটা করা যায়।
আরও পড়ুন: ভারতের মধ্যেই, তবু আজও ব্রিটিশ সংস্থার অধীনে এই রেললাইন
গুগলে সার্চ করলে এই হেল্প লাইন নম্বরটিই ফুটে উঠবে পর্দায়
যেমন ভাবা তেমনি কাজ। খটাখট গুগলে টাইপ করল ‘কী ভাবে আত্মহত্যা করব?’ বাহ! এই তো দারুণ উপকার করেছে গুগল। সার্চ করতেই বেরিয়ে এল হেল্প লাইন নম্বর। তাহলে কী এ বার ফোন করলেই পছন্দ মতো আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে পারবে সে? ওঁরা কী তাঁকে আত্মহত্যা করতে সব রকম সাহায্যও করবে? দেখাই যাক।
সঙ্গে সঙ্গেই স্ক্রিনে ফুটে ওঠা নম্বরে ফোন করা হল। কিন্তু ওপ্রান্তে যে পুলিশের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল! সঙ্গে সঙ্গেই কোথা দিয়ে যেন বদলে গেল পুরো প্রেক্ষাপট। ফোনের লোকেশন দেখে তাঁর বাড়ির অবস্থানও বুঝে গেল পুলিশ। এরপর বোঝানো, কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা করা, বাড়ির সঙ্গে কথাবার্তা বলা— মোট কথা ততদিনে আত্মহত্যার ভূত নেমে গিয়েছে তাঁর ঘাড় থেকে।
নতুন জীবন ফিরে পেয়ে সবার আগে সে ধন্যবাদ জানিয়েছে গুগলকেই।