অফিসের লাঞ্চ আওয়ারেই লুকিয়ে বাকি সময় কাজ করার শক্তি। ছবি: ‘লাঞ্চ বক্স’ সিনেমার একটি দৃশ্য।
একটানা ডেস্কে বসে কাজের মাঝে মধ্যাহ্ণভোজের সময়টুকুই কিছুটা অবসর মেলে ডেস্ক ছেড়ে ওঠার। কিন্তু আধুনিক কর্মব্যস্ত জীবনে এই অবসরটুকুও নিতে রাজি হন না অনেকেই। ডেস্কে বসেই কাজ করতে করতে সেরে ফেলেন খাওয়া। ভাবেন, এই ভাবে কিছুটা সময় বাঁচিয়ে ফেললেন হয়তো!
আপনিও কি তেমনই ভাবেন? এমন ভাবনায় মজলে কিন্তু ভুল করছেন, দাবি চিকিৎসক মহলের। ‘‘লাঞ্চ আওয়ার বলে যেটুকু সময় বিভিন্ন অফিসে বরাদ্দ থাকে, তা মোটেও কেবল খাওয়াদাওয়াটুকু সারতে নয়। বরং এই সময়টুকুর মূল্য অপরিসীম।’’ জানালেন, অস্থিবিশেষজ্ঞ অমিতাভ নারায়ণ মুখোপাধ্যায়। কিন্তু এর সঙ্গে হাড়ের যোগ কোথায়!
চিকিৎসকদের মতে, লাঞ্চ ব্রেক কেবল খাওয়ার জন্য নয়। তাই জায়গায় বসে খাওয়াটুকু সেরে আবার কাজে ফেরা কোনও কাজের কথাই নয়। বরং এই সময় উঠে ক্যান্টিনে গিয়ে বা বাইরে বেরিয়ে খাবার খেয়ে আসার এক অত্যন্ত উপকারী দিক আছে।
আরও পড়ুন: এই সব উপসর্গ দেখা দিলেই সাবধান হোন, অজান্তেই মূত্রনালিতে সংক্রমণ হচ্ছে না তো?
দীর্ঘ ক্ষণ এক জায়গায় বসে থাকার যে কুফল তা থেকে কিছুটা মুক্তি দেয় এই সময়টুকু। এতে শরীরের নড়াচড়া হওয়ায় রক্ত সঞ্চালন ভাল হয়। এক রকম ভঙ্গিতে বসে থাকার পর স্ট্রেচ বা হাঁটাহাঁটি করলে পেশী ও অস্থি সংযোগস্থলগুলি সচল হয়।
আরও পড়ুন: কিছুতেই চুল বাড়ে না? এ সব উপায় মেনে চললে উপকার মিলবে সহজেই
খাওয়ার সময়ও ডেস্ক ছেড়ে ওঠেন না? বিপদ ডাকছেন নিজেরই। ছবি: শাটারস্টক।
এ ছাড়া কাজের ফাঁকে উঠলে কাজ ব্যাহত তো হয়ই না, উল্টে মনোরাগ বিশেষজ্ঞদের দাবি, তাতে কাজে মন বসে বেশি। মধ্যাহ্ণভোজের অবসর কাজের বিষয়কে নতুন করে ভাবতে সাহায্য করে। কাজে উৎসাহ বাড়ে। এ ছাড়া কাজের চাপ ও অবসাদকে কাটাতেও লাঞ্চ ব্রেক কাজে আসে। স্ট্রেস ঝেড়ে ভাল বাবে কাজে ফিরতেও সাহায্য করে এই লাঞ্চ ব্রেক।
কাজেই কেবলমাত্র খাওয়ার জন্য এই ব্রেক মনে করে এই ব্রেক কাজে না লাগালে সে ভুল আপনারই!