Corona

কোভিড রোগীদের মধ্যে বাড়ছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের রোগ, কী করণীয়, নির্দেশিকা জারি করল সরকার

কোভিড রোগীদের অনেকেই ব্ল্যাক ফাঙ্গাস রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। রোজ বাড়ছে সংখ্যা। কী ভাবে বুঝবেন, কী করণীয়, কী করবেন না, জানাচ্ছে সরকার।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ মে ২০২১ ১৩:২১
Share:

এই সংক্রমণ ছড়াতে পারে ফুসফুস এবং মস্তিষ্কে। ছবি: সংগৃহীত

ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের রোগ বা মিউকোরোমাইকোসিস কোভিড আক্রান্তদের মধ্যে বেড়েই চলেছে। দিল্লি, গুজরাত, মহারাষ্ট্র এবং বেঙ্গালুরুতে বেশ কিছু কোভি়ড রোগীদের এই রোগ ধরা পড়েছে। এই ফাঙ্গাল ইনফেকশন অবহেলা করলে মারাত্মক রূপ ধারণ করতে পারে। ত্বকের সমস্যা হয়ে শুরু হলেও এই সংক্রমণ ছড়াতে পারে ফুসফুস এবং মস্তিষ্কে। কেন্দ্রীয় সরকার এই রোগ নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে একটি নির্দেশিকা বার করেছে।

Advertisement

নির্দেশিকা অনুযায়ী কোভিডের সঙ্গে লড়াই করার জন্য যে ওষুধ ব্যবহার করা হচ্ছে, অনেকেরই সেই কারণে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা কমে আসছে। তাই অন্য নানা রোগ সহজেই আক্রমণ করতে পারছে। আইসিএমআর’এর প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, এই লক্ষণগুলি দেখলে সতর্ক হতে হবে।

লক্ষণ

Advertisement

চোখে বা নাকে ব্যথা, লাল হয়ে ফুলে যাওয়া

জ্বর

মাথা ব্যথা

কাশি

নিঃশ্বাসের সমস্যা

রক্তবমি

অস্বাভাবিক মানসিক অবস্থা

কোভিড-রোগী, ডায়াবেটিক রোগী বা যাঁদের রোগ-প্রতিরোধক ক্ষমতা কম, তাঁদের মধ্যে এই রোগের আশঙ্কা কখন? তারও একটি তালিকা দেওয়া হয়েছে এই নির্দেশিকায়।

নাক বন্ধ হয়ে আসা, নাক থেকে চাপা রক্তের মতো বা কালো পুঁজ বেরনো

চোয়ালে ব্যথা, মুখের এক দিকে ব্যথা, অবশ হয়ে যাওয়া বা ফুলে যাওয়া

নাকের উপর কালচে দাগ

দাঁতে ব্যথা বা দাঁত আলগা হয়ে আসা

দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে আসা, বা দু’টো করে জিনিস দেখা, জ্বর, ত্বকের সমস্যা

বুকে ব্যথা, নিঃশ্বাসের সমস্য বেড়ে যাওয়া

কী করবেন

রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা।

পুঁজ বেরনোর পর রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা মাপা। ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রেও তাই।

সঠিক পরিমাণে এবং ঠিক সময় স্টেরয়েড নেওয়া।

অক্সিজেন থেরাপির সময় পরিষ্কার, স্টেরিলাইজ করা জল ব্যবহার করা (হিউমিডিফায়ারে)।

প্রয়োজনে অ্যান্টিবায়োটিক এবং অ্যান্টি ফাঙ্গাল ওযুধ খাওয়া।

কী করবেন না

লক্ষণগুলি খেয়াল রাখা, অবহেলা না করা।

নাকে কালচে দাগ দেখলেই আতঙ্কিত না হওয়া, বিশেষ করে যে কোভিড রোগীদের রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা কম।

ফাঙ্গাসের উপস্থিতি বুঝতে প্রয়োজনীয় শারীরিক পরীক্ষা করতে ভয় না পাওয়া (কেওএইচ স্ট্রেনিং, মাইক্রোস্কোপি, কালচার ইত্যাদি)।

চিকিৎসা শুরু করতে দেরি না করা।

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ

সতর্ক থাকুন

ডাক্তারদের মতে এই রোগ বহুদিন ধরেই রয়েছে। আইসিইউ’র রোগীদের, যাঁদের রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা কম এবং যাঁদের শরীরে কোনও অঙ্গ প্রতিস্থাপন হয়েছে, তাঁদের অনেকেরই মৃত্যুর কারণ এই রোগ। গত বছর এই রোগের কারণে মৃত্যুর হার অনেক বেড়ে গিয়েছিল। কোভিড রোগী ছাড়াও সাধারণ মানুষের এই রোগ আক্রমণ করতে পারে। তাই কয়েকটি জিনিস মাথায় রাখা প্রয়োজন।

খুব ধুলোয় মাস্ক পরা

পরিষ্কার করে স্নান করা

বাগানে কাজ করার সময়ে হাত-পা ঢাকা পোশাক পরা

পরামর্শ নিন

দন্ত শল্যচিকিৎসক

চক্ষু চিকিৎসক

চোখ-নাক-গলার চিকিৎসক

স্নায়ু চিকিৎসক

মেডিসিনের ডাক্তার

জীবাণুবিদ

জৈবরসায়নবিদ

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন