Neel Bhattacharya

বিয়ের পর থেকে আর কোনও পুজোর প্রেমের কথা আমার মনে পড়ে না: নীল ভট্টাচার্য

‘উমা’ শেষ হয়ে যাওয়ার পর আপাতত কিছু দিনের বিশ্রাম। পুজোর পরে আবার নতুন ধারাবাহিকের হাত ধরে পর্দায় ফিরবেন নীল ভট্টাচার্য। পুজোর পাঁচটি দিনের জন্য কী কী কিনলেন অভিনেতা?

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৯:০৯
Share:

সব মিলিয়ে আমার ৮-১০টা জামা হয়ে গিয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

মহালয়া মানেই দুর্গাপুজোর শুরু। পিতৃপক্ষের অবসানে দেবীপক্ষের সূচনা। প্রতিপদ থেকেই পুজোর ভিড় চোখে পড়ছে শহরের আনাচে কানাচে। শহর সেজে উঠেছে উৎসবের রোশনাইয়ে। বেশ কিছু মণ্ডপে চলে এসেছে প্রতিমাও। সেই সঙ্গে জোরকদমে চলছে পুজোর সমাগমে নিজেকে আলাদা করে চেনানোর প্রয়াস। শহরের ফুটপাথ থেকে বিলাসবহুল শপিং মল— পুজোর কেনাকাটা উপলক্ষে থিকথিক করছে ভিড়।

Advertisement

বাঙালির উৎসব-উদ্‌যাপনের অন্যতম অঙ্গ সাজগোজ। সাধারণ মানুষ থেকে তারকা— পুজোর সাজে পাল্লা দিতে পিছিয়ে নন কেউই। টলিপাড়ায় এখনও পুজোর ছুটি পড়েনি। জোরকদমে চলছে শ্যুটিং। পুজোর ছুটির আগে যতটা কাজ গুছিয়ে রাখা যায়। সদ্য শেষ হয়েছে জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘উমা’। এই ধারাবাহিকের মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করতেন অভিনেতা নীল ভট্টাচার্য। ফলে পুজোর আগে তাই কাজের চাপ কম। পুজোর পরে আবার নতুন ধারাবাহিকের হাত ধরে পর্দায় ফিরবেন নীল। পুজোর পাঁচটি দিনের জন্য কী কী কিনলেন অভিনেতা নীল ভট্টাচার্য? খোঁজ নিল আনন্দবাজার অনলাইন।

এখনও নতুন জামা পরা শুরু করিনি। ছবি: সংগৃহীত

নীল বললেন, ‘‘আমার আর তৃণার বারো মাসই শপিং চলতেই থাকে। বেশির ভাগ সময়ই অনলাইনে কিনে নিই। তবে পুজোয় অনেক বছর ধরেই আমার বন্ধু অভিষেক রায়ের কাছ থেকে পোশাক বানাই। পুজো আসার কিছু দিন আগে থেকেই ওঁকে বলে রাখি, কী কী বানাতে হবে। ও আমার কাছ থেকে পুরো ফর্দটা নিয়ে সুন্দর ভাবে সব কিছু বানিয়ে দিয়ে দেয়। এখনও পর্যন্ত সব মিলিয়ে আমার ৮-১০টা জামা হয়ে গিয়েছে। তা বাদ দিয়েও আগে পরা হয়নি এমন বেশ কিছু নতুন জামা রয়েছে। মিলিয়ে-মিশিয়ে অনেকগুলোই আছে। পুজোয় যদি দু’বেলা দু’টো করে পরি তা-ও শেষ করতে পারব না। এখনও নতুন জামা পরা শুরু করিনি। দেখি হয়তো কাল থেকে শুরু করে দেব।’’

Advertisement

পুজো এলেই ছেলেদের মধ্যে পাঞ্জাবি পরার একটা প্রবণতা দেখা যায়। সারা বছর যে ছেলেটি হয়তো পাঞ্জাবি থেকে শতহস্ত দূরে থাকে, অষ্টমী কিংবা দশমীর বিকালে সে-ই ছেলেটাকেই পাঞ্জাবি পরে ঘুরতে দেখা যায়। নীলের নতুন পোশাকের ঝুলিতেও কি পাঞ্জাবির সংখ্যা বেশি? নীলের উত্তর ‘‘পোশাক বাছাইয়ে ব্যালেন্সটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমার পুজো শুরু হয় হালকা কোনও পাঞ্জাবি দিয়ে। তার পর সেটা হয়তো বেশি ভারী কারুকাজ কোনও পাঞ্জাবি কিংবা শেরওয়ানি হয়। পুজোর শেষের দিকে মানে ওই অষ্টমী কিংবা নবমীতে ইন্দো-ওয়েস্টার্ন বা ফিউশন কিছু— মোট কথা মিলিয়ে-মিশিয়ে পরতেই আমি পছন্দ করি। ধুতিও কিন্তু পরি। তবে রেডিমেড। অষ্টমীর অঞ্জলি না দিলে মা বাড়ি থেকে বার করে দেবে। ভাবছি ধুতি-পাঞ্জাবি পরেই অষ্টমীর অঞ্জলি দিতে যাব।’’

সব বউ-ই তাঁদের বরকে নিয়ে একটু পজেসিভ হয়। ছবি: সংগৃহীত

পুজোয় নিজের জন্য নতুন পোশাক কেনা ছাড়াও চলে উপহার বিনিময়ের পালা। প্রিয়জনদের কী উপহার দিলেন নীল? তাঁদের তরফ থেকেই বা কী পেলেন তিনি? নীলের উত্তর, ‘‘মা, বাবা, তৃণা, শ্বশুর-শাশুড়ি সবার জন্যেই অভিষেকের কাছ থেকেই নিয়েছি। মা, তৃণা আর শাশুড়িকে সুন্দর শাড়ি দিয়েছি। বাবা আর শ্বশুরমশাইয়ের জন্যেও পাঞ্জাবি কিনেছি। তৃণাও আমায় পাঞ্জাবি কিনে দিয়েছে। আসলে আলাদা করে কিনতে যাওয়ার সময় থাকে না। ফলে অভিষেকই ভরসা। আমার বা তৃণার পোশাক হয়তো অনলাইনে কিনে নিলাম। কিন্তু বড়দের জন্য তো আর অনলাইনে কেনা যায় না। তা ছাড়া নিজের হাতে করে কিছু কিনে দিলে ওঁদেরও ভাল লাগবে।’’

পুজো আর প্রেম যেন হাতধরাধরি করে চলে। পুজোর আমেজ গায়ে মেখে একটু চোখাচোখি, ফুচকা খাওয়া, পুজোর ভিড়ে একসঙ্গে হারিয়ে যাওয়া— এগুলো না হলে আর কীসের পুজো? বিয়ের পরে পুজো-প্রেমগুলো কি হারিয়ে যায়? ‘‘৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২১-এর (নীল আর তৃণার বিয়ের তারিখ) পর থেকে অন্য কোনও প্রেমের কথা আমার আর মনে নেই। আমি সব ভুলে গিয়েছি।’’ তৃণা কি তবে নীলকে চোখে চোখে রাখেন? নীলের কথায়,‘‘সব বউই তাঁদের বরকে নিয়ে একটু পজেসিভ হয়। তাই সুখ-শান্তিতে থাকতে গেলে এ সব ভুলে যাওয়াই ভাল। আমি নিজেকে বেঁধে রাখতে চাই। শান্তি চাই।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন