আধুনিক জীবনযাপন, কাজের চাপ, স্ট্রেস, প্রযুক্তির ব্যবহার, অস্বাস্থ্যকর খাওয়া দাওয়া, ধূমপান, দূষণ, শরীরচর্চার অভাবের কারণে হার্টের সমস্যা ও স্ট্রোকের ঝুঁকি ক্রমশই বাড়ছে। চিকিত্সকরা জানাচ্ছেন, এই ঝুঁকি অনেকটাই কমানো যায় ডায়েটের দিকে খেয়াল রাখলে। যার প্রথম ধাপ হিসেবে তারা ব্রেকফাস্টে রোজ ডিম খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। তারা জানাচ্ছেন, ডিমের মধ্যে থাকা উচ্চমানের প্রোটিন স্ট্রোকের ঝুঁকি ১২ শতাংশ পর্যন্ত কমাতে পারে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগানের এপিডস্টাট ইনস্টিটিউটের গবেষক ডমিনিক আলেকজান্ডার জানাচ্ছেন, একটা ডিমের মধ্যে থাকে ছয় গ্রাম উচ্চমানের প্রোটিন, লুটেন ও জেক্সানথিনের মতো অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। এ ছাড়াও ডিমের কুসুমে থাকে ভিটামিন এ, ই ও ডি। যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
১৯৮২ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত সিস্টেমেটিক রিভিউ ও মেটা-অ্যানালিসিসের ওপর ভিত্তি করে এই গবেষণার রিপোর্ট করেছেন চিকিত্সকরা। রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ানোয় অনেক চিকিত্সকই মনে করতেন ডিম হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ায়। নতুন এই গবেষণা প্রমাণ করেছে ডিম খাওয়ার সঙ্গে হার্টের অসুখে আক্রান্ত হওয়ার কোনও সরাসরি সম্পর্ক নেই। আমেরিকান এগ বোর্ডের বৈজ্ঞানিক গবেষণার শাখা এগ নিউট্রিশন সেন্টারের ইন্টারিম একজিকিউটিভ টিয়া এম রেইনস জানান, আগের সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ২,৭৬,০০০ জনের রিপোর্ট দেখে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন গবেষকরা। কিন্তু নতুন সমীক্ষায় ৩,০৮,০০০ জনের রিপোর্ট থেকে এই নতুন সিদ্ধান্তে এসেছেন গবেষকরা। ডিম বিশ্বের অন্যতম স্বাস্থ্যকর খাবার। যা শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলার পাশাপাশি দৃষ্টিশক্তিও বাড়ায়।
এই গবেষণার ফল প্রকাশিত হয়েছে জার্নাল অব দ্য আমেরিকান কলেজ অব নিউট্রিশনে।
আরও পড়ুন: শীত পড়ছে, ঠান্ডা লাগা রুখতে খান এই ৫ খাবার