নিয়ম মেনে মিষ্টি খান, মেদের ভয় নেই। ছবি: শাটারস্টক।
মিষ্টি খেতে খুব ভালবাসেন? অথচ ওজন বেড়ে যাবে এই ভেবে ভয় পান? কিংবা হয়তো ডায়াবিটিস হানার ভয় উপেক্ষা করতে না পেরে মিষ্টি খাওয়ায় রাশ টেনেছেন! আপনার মতো অজস্র মানুষ এই একই সংশয়ে দিন কাটান। তবে ভয় নেই, মিষ্টি খাওয়ার কিছু নিয়ম জানলে, দিনে এক-দুটো মিষ্টিতে বাড়বে না মেদ। থাকবে না ডায়াবিটিসে আক্রান্ত হওয়ার ভয়ও।
আসলে আমরা কী ভাবে আর কখন মিষ্টি খাচ্ছি, তার উপরেই নির্ভর করে শরীরের মেদ। অন্তত এমনটাই মত পুষ্টিবিদ সুমেধা সিংহের। তাঁর মতে, ‘‘ডায়াবিটিস হলে অনেকের শরীরের গ্রহণক্ষমতার উপর নির্ভর করে চিকিৎসকরা তাঁদের মিষ্টি খেতে নিষেধ করেন। আবার কেউ কেউ দিনে একটি মিষ্টি খাওয়ার অনুমতিও পান। এটা নির্ভর করে তাঁর শরীরের উপর। কিন্তু সুস্থ মানুষ ওজনবৃদ্ধি বা ডায়াবিটিসে আক্রান্তহওয়ার ভয়ে মিষ্টি না খেলে তার সমাধান আছে বইকি!’’
কেমন সমাধান? সুমেধার কথায়, ‘‘শরীরের বিপাকক্রিয়ার হার কখন কতটুকু সে ধারণা থাকলেই মিষ্টি খাওয়া নিয়ে অকারণ ভয় পেতে হয় না।’’
আরও পড়ুন: খাদ্যতালিকায় তেঁতুল নেই! এ সব জানলে এমন ভুল আর নয়
মিষ্টি মানেই ডেজার্ট— এ ধারণা বদলে ফেলুন। বরং ভরা পেটে মিষ্টি খেলেই ওজন বাড়বে। তার চেয়ে মিষ্টি খান সকালের চা বা কফির সঙ্গে, ‘স্ন্যাক্স’ হিসাবে। এই সময় রক্তে শর্করার পরিমাপ নীচের দিকে থাকে। তখন মিষ্টি খেলে কোনও ভাবেই তা মেদ হিসাবে জমা হয় না শরীরে। বরং রক্তে শর্করার মান বাড়িয়ে শক্তিবৃদ্ধি করে। তা বলে একসঙ্গে অনেক মিষ্টি একেবারেই খাবেন না। চা বা কফির সঙ্গে মিষ্টি খেলেও তা খেতে হবে পরিমিত, একটি বা দু’টির বেশি নয়। মিহিদানা, ক্ষীর বা সীতাভোগের মতো মিষ্টি খেলে এক মুঠোর বেশি খাবেন না।
আরও পড়ুন: একশো বছর পেরিয়ে গেলেও ব্লেডের নকশা কেন বদলায়নি জানেন?
যখন মিষ্টি খাচ্ছেন, তখন কেবল মিষ্টিই খান। সঙ্গে অনেকটা খাবার খেয়ে ফেলবেন না। এতে মিষ্টি অতিরিক্ত মেদ হিসাবে শরীরে জমা হবে। তাই দু’টো ভারী খাবার খাওয়ার মাঝে পেট খালি থাকলে তখন একটা মিষ্টি খান। অনেকেই রাতে শেষপাতে একটা মিষ্টি খেতে পছন্দ করেন৷ এটা একেবারেই ভুল৷ এ ভাবে মিষ্টি খাবেন না। এই সময় আমাদের বিপাকক্রিয়া খুব ধীর গতিতে হয়৷ তাই মিষ্টিতে থাকা চিনি খুব সহজে শরীরে মেদ হিসাবে জমে। নিয়মিত ব্যায়াম করার অভ্যাস থাকলে মিষ্টি খান শরীরচর্চার পর। এই সময় আমাদের শরীরে শক্রির প্রয়োজন হয়। মিষ্টির ভিতরে থাকা চিনি সেই শক্তির জোগান দেবে। আবার কায়িক পরিশ্রম হওয়ার ফলে শরীরের বিপাকক্রিয়ার হার এই সময় কম থাকে। তাই মিষ্টি খেলে তা মেদ হিসাবে জমা হয় না।