অফিসের কাজের চাপে বেশির ভাগ দিনই বাড়ি ফিরতে দেরি। ক্লান্তিতে রান্না করার ইচ্ছা বা সময় কোনওটাই নেই। ফোনেই অর্ডার দিয়ে দেওয়া গেল ফাস্ট ফুডের দোকানে। ৩০ মিনিটের মধ্যেই বাড়িতে হাজির পিত্জা, বার্গার, ফ্রেঞ্চ ফ্রাইজ। এই সব প্যাকেজড ফাস্ট ফুড আমাদের জীবনকে অনেক সুবিধাজনক করলেও বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এই সব খাবারের প্যাকেজিংয়ে ব্যবহার করা হয় গ্রিজ প্রুফ পেপার। যার মধ্যে থাকা ফ্লোরিনেটেড যৌগ বাড়িয়ে দেয় ক্যানসারের ঝুঁকি।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটসের সাইলেন্ট স্প্রিং ইন্সটিটিউটের এনভয়ারমেন্টাল কেমিস্ট ও মুখ্য গবেষক লরেল শেডারের বলেন, ‘‘ফুড প্যাকেজিংয়ের মধ্যে থাকে দু’ডজনেরও বেশি ফ্লোরিনেটেড রাসায়নিক থাকে। পলিফ্লুরোঅ্যালকাইল পদার্থ ক্যানসারের ঝুঁকি যেমন বাড়ায়, তেমনই বন্ধাত্ব্য, কম ওজনের শিশুর জন্ম দেওয়া ও শিশুদের মানসিক বিকাশে ব্যাঘাত ঘটানোর মতো সমস্যা, থাইরয়েডের সমস্যা, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেওয়ার মতো সমস্যা তৈরি করতে পারে।’’
এনভয়ারমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি লেটারস জার্নালে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, সারা বিশ্বে ব্যবহৃত পেপার র্যাপারের (বার্গার, প্যাস্ট্রি ব্যাগ) ৫০ শতাংশ ও পেপারবোর্ডের (ফ্রেঞ্চ ফ্রাইজ, পিত্জা বক্স) ২০ শতাংশের মধ্যেই ফ্লোরিন থাকে। টেক্স-মেক্স ফুড প্যাকেজিং ও ডেজার্ট অ্যান্ড ব্রেড র্যাপারস সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকারক।
ফুড প্যাকেজিং ছাড়াও নন-স্টিক, স্টেইন-রেজিসট্যান্ট বাসন, ওয়াটারপ্রুফ প্রোডাক্ট ও কার্পেটে ফ্লোরিন যৌগ ব্যবহার করা হয়ে থাকে।