water

খুব কষ্ট করার দরকার নেই, এই সব সহজ উপায়েই জল বাঁচাতে পারেন প্রতি দিন

সাংসারিক ও জৈবিক কাজে যেটুকু জল পর্যাপ্ত, তা ব্যবহার করেও জল নানা ভাবে বাঁচাতে পারেন। কেবল প্রয়োজন কিছু বাড়তি সতর্কতা ও অভ্যাস।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ জুলাই ২০১৯ ১২:৩৪
Share:

জলকষ্ট মেটাতে বাঁকুড়ায় কুয়ো খুঁড়ছেন স্থানীয় মানুষরা। এই ছবি দেখতে হতে পারে কলকাতাতেও। —ফাইল চিত্র।

এমন অনাবৃষ্টির বর্ষাকাল দক্ষিণবঙ্গ শেষ কবে দেখেছে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। তার উপর নদীমাতৃক ভারতে জলের হাহাকারও আজকাল দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে ক্রমশ। চেন্নাই-সহ কমবেশি গোটা দক্ষিণ ভারতের হাল ভীত করে তুলছে আরও। বিশেষজ্ঞদের মতে, এখনই সাবধান না হলে পশ্চিমবঙ্গেও জলের অভাব নেমে আসার শঙ্কা খুব দূরে নয়।

Advertisement

তাই সতর্ক হওয়ার এটাই সময়। সাধারণত যে জলের জোগান আমরা নিত্য বাড়িতে পাই, তার অনেকটাই আমরা নষ্ট করে ফেলি। একটু সতেচন থাকলে সেগুলো সহজেই কমিয়ে ফেলা সম্ভব। অনেকে অবশ্য চেন্নাইয়ে জলের হাহাকার প্রকাশ্যে আসতেই সব কাজে খুব কম পরিমাণ জলের ব্যবহারের নিদান দিয়েছিলেন। তবে সে ক্ষেত্রে নিত্য কিছু কাজ সারতে নানা সমস্যার মুখোমুখি হতে পারেন। তাই বাস্তবে পা রেখেই, খুব অসুবিধার মধ্যে না গিয়ে জল বাঁচানোর দিকে নজর দিন।

সাংসারিক ও জৈবিক কাজে যেটুকু জল পর্যাপ্ত, তা ব্যবহার করেও জল নানা ভাবে বাঁচাতে পারেন। কেবল প্রয়োজন কিছু বাড়তি সতর্কতা ও অভ্যাস। রইল তেমন কিছু উপায়ের হালহদিশ।

Advertisement

আরও পড়ুন: লম্বা হলেই নয়, চুল কাটাতে হবে এ সব সমস্যাতেও

খোলা কল আর নয়: বাড়ি হোক বা বাইরে, অহেতুক বাসন মাজা, জামা-কাপড় কাচাকুচি বা ব্রাশ করার সময় অহেতুক কল খুলে রাখবেন না। প্রয়োজনে মুখ ধোয়া বা ব্রাশ করার মতো কাজ মগে জল ভরে কাজ সারুন।

শাওয়ারে স্নান: স্নানে লাগাম দেওয়া কোনও কাজের কথা নয়। কিন্তু স্নানের পদ্ধতি বদলালে অনেকটা জল বাঁচাতে পারেন আপনি। শাওয়ারের তলায় না দাঁড়িয়ে বালতিতে জল ভরে স্নানের অভ্যাস তৈরি করুন। দরকারে তখন প্রয়োজনীয় জলের জোগানের জন্য হালকা করে চালিয়ে রাখুন কল। কিন্তু স্নান শেষ হলেই কল বন্ধ করুন মনে করে।

গাছের যত্ন: জলের ভূমিকা এখানেও গুরুত্বপূর্ণ। রোদ বেড়ে গেলে গাছে জল দেওয়ার অভ্যাস থাকলে তা বদলান। এতে জল দ্রুত বাষ্পীভূত হয় বলে খানিক পরে পরেই গাছে জল দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে। বরং ভোরে বা বিকেলের দিকে গাছে জল দিন।

কাচাকুচি: ওয়াশিং মেশিনে কাচার সময় কল খুলে রাখেন অনেকেই। কারণ ভারী জলের বালতি তোলার নানা রকম শারীরিক সমস্যা থাকে। তাতে দোষ নেই। সে ক্ষেত্রে কল হালকা করে খুলে রাখুন। কিন্তু একলপ্তে বেশি করে জামাকাপড় মেশিনে দিন ও সর্বোচ্চ গতিবেগে মেশিন চালান। বার বার জামাকাপড় ভরে ও বারবার কাচাকুচির চেয়ে এই পদ্ধতি অবলম্বন করলে কিছুটা জলের খরচ বাঁচানো যাবে।

আরও পড়ুন: জেল্লাদার ও পরিষ্কার মুখ চান? এই উপায়ে মাত্র এক মিনিটই যথেষ্ট

কল শক্ত করে বন্ধ করার অভ্য়াস ছোটদেরও আয়ত্তে আনুন।

কল শক্ত করে বন্ধ করুন: অনেক সময় দেখা যায় কল বন্ধ করতে গিয়ে খানিক হালকা চাপ দেওয়ার ফলে সারা দিন ধরে কল থেকে ফোঁটা ফোঁটা জল পড়ে যেতে থাকে। এতেও কিন্তু জলের অনেকটা অপচয় হয়। এই বিষয়েও সতর্ক থাকুন।

বাসন মাজার নিয়মে বদল: কল খুলে দেদার জল নষ্ট করে বাসন মাজার অভ্যাসে রাশ টানুন। বরং বাসন মাজার আগে এক বালতি জলে বাসন ডুবিয়ে অন্তত ভাল করে ধুয়ে নিন। এতে বাসন মাজার কাজও দ্রুত হবে ও বেশি জল লাগবে না।

পাইপে লাগাম: যে সব কাজ করতে হোস পাইপ ব্যবহার করেন, সে সব কাজ বালতি ও মগ বা ওয়াশক্লথ ও বালতি ব্যবহার করে করা সম্ভব হলে সেটাই করুন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন