money

এই সব উপায় মেনে চললে সহজেই টাকা সঞ্চয় করতে পারবেন

প্রতি দিনের এমন কিছু অভ্যাস আয়ত্তে এনে সঞ্চয়ের পরিমাণ বাড়াতে পারেন। টাকা জমানোর কিছু সহজ উপায়ও অবলম্বন করতে পারেন। দেখে নিন সে সব।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২০ ডিসেম্বর ২০১৮ ১৫:২১
Share:

টাকা-পয়সা সঞ্চয়ে মেনে চলুন কিছু কৌশল। ছবি: আইস্টক।

আয় যেমনই হোক, প্রত্যেকেরই উচিত ভবিষ্যতের জন্য কিছুটা অর্থ সঞ্চয়ও করা— এ কথা কমবশি সকলেই প্রায় শুনেছি। এই কথা যথেষ্ট যুক্তসঙ্গতও। কিন্তু আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের সমতা রক্ষা ও মাগ্গিগণ্ডার বাজারে সব খরচ সামলে আয়ের একটা বড় অংশ তুলে রাখা সকলের পক্ষে সম্ভব হয় না। কম রোজগার হলে তো ভবিষ্যতের জন্য টাকা জমানো ভীষণই গুরুত্বপূর্ণ। আবার যাঁর রোজগার অনেকটা বেশি, তাঁর ক্ষেত্রে জীবনযাত্রার মানও এতটাই উন্নত হয় যে, সঞ্চয় নিয়ে তাঁকেও আলাদা করে পরিকল্পনা করতে হয়।

Advertisement

তাই খরচের সঙ্গে সঞ্চয়ের দিকটা ভুললে ভবিষ্যতে বড় সমস্যার মুখে পড়তে পারেন। তাই এত দিন এলোপাথাড়ি খরচ করলেও এ বার একটু রাশ টানুন তাতে। তা হলে কী প্রয়োজনীয় খরচে কাটছাঁট করার কথা ভাবছেন? তা নয়। একটু ভাবলেই বুঝবেন, প্রয়োজনীয় নানা খরচের মধ্যেই অহেতুক কিছু খরচও মিশে থাকে। প্রতি দিনের তেমন কিছু অভ্যাস বদলাতে পারলে প্রতি দিন সামান্য কিছু টাকা বেঁচেই যায়। আর মাসের শেষে সে অঙ্কটা মোটেও খুব একটা কম হয় না।

প্রতি দিনের এমন কিছু অভ্যাসের বশবর্তী কি আপনিও, তা হলে সে সব নিয়ন্ত্রণ করে সঞ্চয়ের পরিমাণ বাড়ান। শুধু তাই-ই নয়, টাকা জমানোর কিছু সহজ উপায়ও অবলম্বন করতে পারেন। দেখে নিন সে সব।

Advertisement

ইতিহাসের পাতায় আজকের তারিখ, দেখতে ক্লিক করুন — ফিরে দেখা এই দিন

আরও পড়ুন: এই সব উপায়ে চালকে পোকার হাত থেকে বাঁচান

অনলাইন শপিংয়ে নানা ছাড়ের সদ্ব্যবহার করুন।

চা-কফির নেশা অনেকেরই থাকে। তা বন্ধ করাও কঠিন। তাই শরীরের সমস্যা না হলে তা বন্ধ করার কথা না ভাবাই ভাল। তবে প্রতি দিন কি খুব দামি ব্র্যান্ডেড চেন থোকেই চা-কফি খান? সে অভ্যাসে রাশ টানুন। নামী চেনগুলোর চা-কফির দাম এমনিই অনেকটা বেশি হয়। তাই চেষ্টা করুন সপ্তাহের দু’-তিন দিন একটু কম দামি কিন্তু ভাল জায়গা থেকে চা-কফি খেতে। পারলে বাড়িতেও বানিয়ে খেতে পারেন ব্র্যান্ডেড চা-কফি। তাতে স্বাদ ও মান কোনওটার সঙ্গেই আপস করতে হবে না, আবার পকেটের চাপও হালকা করা যাবে। বাড়ির বিদ্যুতের বিলে রাশ টেনেও কিন্তু কিছুটা টাকা সঞ্চয় করতেই পারেন। আমাদের রোজের অভ্যাস খতিয়ে দেখলেই বুঝতে পারবেন, আমরা প্রায়শই বাড়ির আলো-পাখা ও অন্যান্য বৈদ্যুতিক জিনিস ব্যবহারের পর তা বন্ধ করতে ভুলে যাই। অনেক সময় হাতের কাজ সেরে এসে বন্ধ করি। এই অভ্যাস বদলান। ব্যবহার শেষ হলেই বন্ধ করুন সুইচ। বাড়িতে রাখুন উন্নত মানের ওয়্যারিংও। এতে বিদ্যুতের বিলের খরচে রাশ টানা সম্ভব হবে। অনলাইন শপিংয়ের ব্যবহার ও অপব্যবহার নিয়ে সচেতন থাকুন। আজকাল প্রায় সারা বছরই অনলাইনে নানা সংস্থা জিনিসপত্রের উপর ছাড় দিয়ে থাকেন। ঘর-গৃহস্থালী, বাজার বা নিজের প্রয়োজনীয় জিনিস কেনার সময় সেগুলি ব্যবহার করতে পারেন। আবার অনলাইন শপিংয়ের নেশায় পড়ে অনেক জিনিস একসঙ্গে কিনে ফেলা বা অপ্রয়োজনেও ঘন ঘন এই শপিং করার অভ্যাস বদলান।

আরও পড়ুন: লেপ-কাঁথা-কম্বল থেকে জ্যাকেট-সোয়েটার, কী ভাবে রাখবেন একেবারে নতুনের মতো?

প্রতি দিনের খরচের উপর নির্ভর করে একটা বাজেট কষে নিন। সাধারণত, সেই বাজেটের মধ্যেই থাকার চেষ্টা করুন। যে দিন খরচের হার বাড়বে, চেষ্টা করুন পরে কোনও এক দিন তা কমিয়ে সমতা রাখতে। প্রতি দিন বাড়ি ফিরে বেঁচে যাওয়া টাকা একটা জায়গায় জমান। দিনের নিরিখে অল্প হলেও, মাসের শেষে ওই কয়েকশো টাকা কাজে আসতে পারে। ভবিষ্যতের পরিকল্পনা করুন ভেবেচিন্তে। পোস্ট অফিস, ব্যাঙ্ক, নানা সরকারি বিমা সংস্থা এগুলি টাকা জমানোর গুরুত্বপূর্ণ সরকারি জায়গা। বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে বেছে নিতে পরেন কোনও স্কিম। অল্প কিছুটা করে টাকা সেখানে জমাতে পারলে তা ভবিষ্যতে কাজে আসবে। সম্ভব হলে চিকিৎসার জন্য আলাদা করে স্বাস্থ্যবিমা করিয়ে রাখুন। আজকাল ক্যানসারের মতো বিশেষ কিছু অসুখের জন্য আলাদা করেও বিমা করিয়ে নিন। অসুস্থতাজনিত খরচ এতে অনেকটাই সামলে নেওয়া যাবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন