গ্রাফিক: তিয়াসা দাস
নতুন অর্থবর্ষ। মাইনে বেড়েছে। কিন্তু দশ জনের মধ্যে নয় জনই এই বাড়তি মাইনের টাকাটা বাজে খরচ করে ফেলবেন সঠিক পরিকল্পনার অভাবে। কোনও এক উইকেন্ডে বেহিসেবি হয়ে এই টাকাটা জলে দেবেন আপনিই।
এমন ঘটনার সম্মুখীন যাঁরা, অদূর ভবিষ্যতে নিজের কঠিন শ্রমে উপার্জিত এই বাড়তি টাকাটুকু বাঁচাতে, বছর শেষে ট্যাক্সের গেরো থেকে বাঁচতে পিপিএফ সেরা ইনভেস্টমেন্ট পলিসি।
অনেকেই জানেন না, ব্যাঙ্ক ডিপোজিটের থেকে অপেক্ষাকৃত বেশি সুদ পাওয়া যায় পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ডে টাকা রাখলে। পাওয়া যায় আয়কর ছাড়ের সুবিধাও। কারণ, টাকা রাখা, সেই টাকার উপরে সুদ ও ম্যাচিওরিটি থেকে পাওয়া টাকার উপরে এ ক্ষেত্রে কোনও কর দিতে হয় না।
আরও পড়ুন: পিএফ তুলতে শুখতলা খোয়ানোর দিন শেষ, জানুন কী ভাবে বাড়িতে বসেই পাবেন আপনার টাকা
সরকারের নানা ইনভেস্টমেন্ট পলিসির মধ্যে পিপিএফই সেরা, এমনটাই বলেন বিশেষজ্ঞরা। মামলা চলাকালীনও পিপিএফ অ্যাকাউন্ট বাজেয়াপ্ত হয় না। চোখ বোলানো যাক পিপিএফ সংক্রান্ত কয়েকটি জরুরি তথ্যে:
• বছরে অন্তত ৫০০ টাকা এই অ্যাকাউন্টে জমা রাখতে হবে।
• বছরে সর্বাধিক দেড় লক্ষ টাকা জমা করা যাবে।
• কোনও ব্যক্তি পোস্ট অফিস বা ব্যাঙ্কে একটিই পিপিএফ অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন।
• জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট পিপিএফের ক্ষেত্রে বৈধ নয়। তবে নমিনি রাখা যাবে।
আরও পড়ুন: পারফিউমের গন্ধ শরীরে থাকবে সারাদিন, মেনে চলুন এই সহজ টিপস
• ১৫ বছর পর অ্যাকাউন্টটি ম্যাচিওর করার পরেও টাকা জমা রাখতে চাইলে তা অবশ্যই ব্যাঙ্ক বা পোস্ট অফিসে জানাতে হবে। এ ক্ষেত্রে মেয়াদ ৫ বছর বাড়ানো যায়। পাঁচ বছর পর্যন্ত অ্যাকাউন্ট আবার ওই একই ভাবে চালু রাখা যাবে।
• পিপিএফ-এ এক বছরে অর্থাৎ ১২টি কিস্তি একবারে দেওয়া যায়।
• অনলাইনেও দেওয়া যায় পিপিএফের টাকা।