খোয়ায় ভেজাল আছে কি না বুঝবেন কী করে? ছবি: শাটারস্টক।
দীপাপলি উপলক্ষে ইতিমধ্যেই শহর জুড়ে সাজ সাজ রব। আর উৎসব মানেই তো মিষ্টিমুখ। পুজো-পার্বণের বাড়িতে মিষ্টি বানাতে অনেকেই পছন্দ করেন। ছানার পরেই মিষ্টি বানাতে গিয়ে যে উপকরণটির খোঁজ পড়ে তা হল খোয়া। হাতের তালু দিয়ে খোয়া মেখে তার সঙ্গে পরিমাণ মতো ছানা বা ময়দা মিশিয়ে তৈরি করা হয় হরেক রকম মিষ্টি। যাঁরা নিয়মিত মিষ্টি তৈরি করেন, তাঁরা অবশ্য খালি চোখে দেখেই বলে দিতে পারেন খোয়া ভাল না মন্দ। অনেক সময়ই খোয়ার মধ্যে স্টার্চ, ভেজিটেবল ফ্যাট, চকের গুঁড়ো মিশে থাকে। কিন্তু দোকান থেকে যে খোয়া কিনছেন, তাতে ভেজাল আছে কি না বুঝবেন কী করে সাধারণ মানুষ?
১) এফএসএসএআই-এর তথ্য অনুযায়ী, ভাল মানের খোয়া সাধারণত তৈলাক্ত এবং দানাযুক্ত হয়। হাতে ঘষে দেখলেই বোঝা যাবে তেলতেলে ভাব রয়েছে কি না। দোকানে গিয়ে খোয়া কেনার আগে হাতে ঘষে দেখে নিতে হবে।
২) এক কাপ গরম জলে এক চা চামচ খোয়া দিয়ে দিন। এ বার এই মিশ্রণে কয়েক ফোঁটা আয়োডিন মিশিয়ে নিন। যদি ওই মিশ্রণ নীলচে রং ধারণ করে, তা হলে বুঝতে হবে খোয়ার মধ্যে অশুদ্ধি মেশানো রয়েছে।
৩) পচনশীল খাবার জিনিস দীর্ঘ দিন টাটকা রাখার জন্য তার মধ্যে অনেক সময়ে ফর্মালিন মেশানো থাকে। তা বোঝার জন্য সালফিউরিক অ্যাসিড দিয়ে পরীক্ষা করে দেখা যেতে পারে। তার জন্য একটি পাত্রে সামান্য খোয়া নিয়ে তার মধ্যে কয়েক ফোঁটা ফর্মালিন দিয়ে দিন। খোয়া যদি বেগনি রং ধারণ করে তা হলে বুঝতে হবে, তার মধ্যে ভেজাল মেশানো রয়েছে।