চটজলদি রান্নার ৫ কৌশল জানা আছে তো? ছবি: সংগৃহীত।
সকালে অফিসের তাড়াহুড়োয় রান্নাঘরে বেশি সময় কাটানোর সুযোগ থাকে না। রান্নায় ঠেলায় অফিসে দেরি হয়ে গেলে কপালে জোটে বসের চোখরাঙানি। গরমের সময়ে চটজলদি রান্নাঘর থেকে বেরোতে পারলেই যেন শান্তি! তবে এমন কিছু ফিকির আছে, যেগুলি মেনে চললেই আপনাকে রান্নাঘরে খুব বেশি সময় কাটাতে হবে না। জেনে নিন চটজলদি রান্না সারার কয়েকটি কৌশল।
১) রান্নার সময় মশলা বাটতে অনেকটা সময় চলে যায়। সময় বাঁচানোর জন্য আদা, রসুন, লঙ্কা এগুলি আগে থেকেই বেটে ফ্রিজে রেখে দিতে পারেন। মশলাগুলি বাটার সময়ে সামান্য নুন আর সাদা তেল মিশিয়ে নিলেই সাত দিন মতো ব্যবহার করতে পারবেন বাটামাশলা।
২) পরের দিন কী বানাবেন, সেই ভাবনাটি আগের দিনই ভেবে রাখতে পারেন। রাতে সব্জিগুলি কাটাকুটি করে রাখলে সকালে রান্না সারতে খুব বেশি সময় লাগবে না। হেঁশেলের ছুরিতে ধার আছে কি না যাচাই করে নিন। ছুরির কারণে কিন্তু অনেকটা সময় অপচয় হয়।
৩) যে দিন খুব বেশি তাড়া থাকবে, সে দিন ভাত, ডাল, মাছ, মাংসের মতো অনেকগুলি পদ না বানিয়ে সব মিশিয়ে একটাই পদ বানিয়ে ফেলতে পারেন। এ ক্ষেত্রে মাংসের ভুনা খিচুড়ি, কুকারের বিরিয়ানির মতো ‘ওয়ান পট মিল’ বানিয়ে মুশকিল আসান করতে পারেন।
৪) আগের দিন যে খাবার বেঁচে গিয়েছে, সেগুলি ফেলে না দিয়ে ওটা দিয়েই অন্য পদ বানিয়ে ফেলতে পারেন। ধরুন অনেকটা মুরগির মাংসের ঝোল বেঁচে গিয়েছে। সেই মাংসগুলি আলাদা করে ছাড়িয়ে নিয়ে অন্য মশলাপাতি দিয়ে সহজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন চিকেন ভর্তা। বাসি ভাত থাকলে ডিম, আলু, পেঁয়াজ, লঙ্কা দিয়ে বানিয়ে ফেলুন ভাত-ভাজা।
৫) সব্জি সেদ্ধ হতে অনেকটা সময় লেগে যায়। সময় বাঁচাতে আগে থেকে সামান্য নুন দিয়ে কুকারে সব্জিগুলি ভাপিয়ে নিতে পারেন। তা হলে রান্নার সময় বাঁচবে। এ ছাড়াও সব্জির আকার ছোট করে কাটলে তা দ্রুত সেদ্ধ হয়ে যাবে, কুকারে দেওয়ারও প্রয়োজন পড়বে না। রান্নায় গরম জল ব্যবহার করুন। তাড়াতাড়ি রান্না করতে হলে এই টোটকা দারুণ কাজের।