Lifestyle News

এক বছরের নীচে শিশুদের ফলের রস নয়, বলছেন বিশেষজ্ঞরা

বাচ্চাদের এক বছর হওয়ার আগেই ফলের রস খাওয়ানো শুরু করে দেন মায়েরা। বহু যুগ ধরেই ফলের রসকে স্বাস্থ্যকর মনে করে এসেছি আমরা।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৩ মে ২০১৭ ১৩:৫০
Share:

বাচ্চাদের এক বছর হওয়ার আগেই ফলের রস খাওয়ানো শুরু করে দেন মায়েরা। বহু যুগ ধরেই ফলের রসকে স্বাস্থ্যকর মনে করে এসেছি আমরা। শিশু চিকিত্সকরা কিন্তু বলছেন, এক বছরের আগে ফলের রস খাওয়ানোর কোনও প্রয়োজনই নেই। ফলের রস থেকে কোনও পুষ্টিই পায় না শিশুরা।

Advertisement

শিশু চিকিত্সকদের মতে, মাতুদুগ্ধ ও ইনফ্যান্ট ফর্মুলাই এক বছরের নীচে শিশুদের পুষ্টির জন্য যথেষ্ট। ফলের রস বের করে ছেঁকে খাওয়ালে নষ্ট হয়ে যায় ফলে ডায়েটারি ফাইবার। এতে শিশু পুষ্টি তো পায়ই না, বরং বেড়ে যায় ওজন।

আমেরিকান অ্যাকাডেমি অব পেডিয়াট্রিকসের গবেষক মেলভিন হেম্যান বলেন, “বাবা-মায়েরা মনে করেন ফ্রুট জুস খুবই পুষ্টিকর। কিন্তু ফলের রস কখনই টাটকা ফলের বিকল্প হতে পারে না। আবার বাচ্চার মুখের স্বাদের জন্য মায়েরা এতে চিনিও মেশান। ফলে অযথা ক্যালোরি যোগ হয়। এক বছরের নীচের বাচ্চাদের জন্য তা অপ্রয়োজনীয়। এক বছর বয়সের পর ফলের রস দেওয়া গেলেও তা বেশি পরিমাণে খেলে পুষ্টির বদলে ক্যালোরিই পৌঁছবে শরীরে, সেই সঙ্গেই দাঁতের ক্ষয়ও হতে পারে।

Advertisement

২০০১ সালে এই বিষয় সংক্রান্ত প্রথম রিপোর্ট প্রকাশ করে আমেরিকান অ্যাকেডমি অব পেডিয়াট্রিকস। যে রিপোর্টে বলা হয়েছিল ৬ মাসের নীচে শিশুদের ফলের রস খাওয়ানোর প্রয়োজন নেই। নতুন রিপোর্টে বলা হয়েছে এক বছর বয়স পর্যন্ত মাতৃদুগ্ধ ও ইনফ্যান্ট থেকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি পেয়ে যাবে শিশুরা। এক বছর বয়সের পর থেকে সুষম ডায়েটের সঙ্গে খাওয়ানো যেতে ফলের রস। তবে তা যেন ১০০ শতাংশ টাটকা ফলের হয় এবং মাত্রা সীমিত থাকে। ১-৩ বছর বয়স পর্যন্ত ৪ আউন্স (১১৩.৩ গ্রাম) ফলের রসই যথেষ্ট।

আরও পড়ুন: কটন বাড থেকে সাবধান! হয়ে যেতে পারে বড়সড় ক্ষতি

বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, শিশুদের বোতল বা সিপি কাপে ভরে ফ্রুট জুস দেওয়া উচিত নয়। এ ভাবে তারা সারা দিন ধরে ফলের রস খেতে থাকে। ফলের মধ্যে থাকা কার্বোহাইড্রেট থেকে দাঁতের ক্ষয় হতে পারে। বিশেষ করে শোওয়ার সময় কখনই শিশুকে ফলের রস দিয়ে ঘুম পাড়ানো উচিত নয়। দাঁত ওঠার পর থেকেই শিশুদের গোটা ফল খেতে শেখান। এতে ফলের সম্পূর্ণ পুষ্টি ও ডায়েটারি ফাইবার ওদের শরীরে পৌঁছবে। অতিরিক্ত ওজনও বাড়বে না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন