বাড়ির বাগানের গাছের স্বাস্থ্য় রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে কফি গুঁড়ো। ছবি: সংগৃহীত।
কফি তৈরির পর বীজের গুঁড়ো অনেকেই ফেলে দেন। তবে ব্যবহৃত কফি বীজ সার হিসেবে ব্যবহার করা যায়। তাই বাড়ির বাগানের গাছের পরিচর্যার ক্ষেত্রে কফি বীজ অন্যতম শক্তিশালী হাতিয়ার হয়ে উঠতে পারে।
কেন কফি বীজ
কফি বীজের মধ্যে একাধিক পুষ্টি উপাদান উপস্থিত। তার মধ্যে নাইট্রোজেন, ফসফরাস, পটাশিয়াম অন্যতম। বাগান বা টবের মাটিতে কফি বীজের গুঁড়ো মিশে থাকলে, গাছের প্রয়োজনীয় পুষ্টির অভাব ঘটবে না। কিন্তু সার হিসেবে এই কফি বীজ ব্যবহারের একাধিক পদ্ধতি রয়েছে।
কী ভাবে ব্যবহার
১) জৈব সার তৈরির ক্ষেত্রে কফির গুঁড়ো উপকারী। সপ্তাহে এক বার তা গাছের টবে মিশিয়ে দেওয়া যেতে পারে। এই ধরনের সার গাছের শিকড়ে পুষ্টির জোগান দেয়।
২) মাটির আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে কফির গুঁড়ো। তাই গাছের গোড়ায় তা ছড়িয়ে দেওয়া যায়। পচা পাতা, ছোট ডালপালার সঙ্গে কফি গুঁড়ো ভাল করে মিশিয়ে নিয়ে তা টবের মাটির উপরে ছড়িয়ে দিতে হবে।
৩) শামুক বা অন্যান্য কীটপতঙ্গের আক্রমণে অনেক সময়েই গাছের ক্ষতি হয়। সেখানে কফি গুঁড়ো কাজে আসতে পারে। কফির গন্ধে কীটপতঙ্গ গাছ থেকে দূরে থাকে। আবার কফির মধ্যে উপস্থিত ক্যাফিন কোনও কোনও পতঙ্গের জন্য বিষাক্ত। সব মিলিয়ে গাছের ক্ষতি রোধ করে কফি।
৪) একটি পাত্রে জল ভরে তার মধ্যে কফিগুঁড়ো ২৪ ঘণ্টা ধরে ভিজিয়ে রাখতে হবে। তার পর ছেঁকে নিয়ে তরল মিশ্রণটি দিয়ে গাছের গায়ে স্প্রে করতে হবে। টবের গাছের ক্ষেত্রে এই মিশ্রণটি প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদানের জোগান দেয়।
৫) কফির গুঁড়ো টবের মাটির মধ্যে হাওয়া চলাচলের জায়গা তৈরি করে। তার ফলে টবের মধ্যে জল জমে থাকে না এবং গাছে পছন ধরার সম্ভাবনা কমে যায়। পাশাপাশি এ ক্ষেত্রে গাছের শিকড় সহজেই মাটির গভীর পর্যন্ত পৌঁছতে পারে।