DETOX

দোলে অনিয়মে জেরবার শরীর, কী ভাবে সামাল দেবেন এ বার?

দশটা-পাঁচটার জীবনে এক দিনের এই অনিয়ম যেতে পারে। কিন্তু হ্যাংওভার বড় বালাই। পরের কয়েক দিন বাদুরঝোলা ঝুলতে পারবেন তো? অফিসে কী ভাবে সামাল দেবেন?

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ মার্চ ২০১৯ ১১:২৭
Share:

রং থেকে শুরু করে খাবার, নিয়ম ভাঙার দিনই যেন দোল! ছবি: পিটিআই।

দোল বলে কথা! বস-বউ-প্রেমিক-প্রেমিকা সারা বছর যতই কলসির কানা মারুক, এ দিন বাঙালি প্রেম বিলোবেই। রঙিন হৃদয়ে চব্বিশটা ঘণ্টা বারবার ভাঙবে নিয়ম। পাতে উঠবে যথেচ্ছ ইলিশ, ভেটকি, রেডমিট। দফায় দফায় চলবে নেশাড়ু হয়ে ওঠার তীব্র বাসনা। দশটা-পাঁচটার জীবনে এক দিনের এই অনিয়ম যেতে পারে। কিন্তু হ্যাংওভার বড় বালাই। পরের কয়েক দিন বাদুরঝোলা ঝুলতে পারবেন তো? অফিসে কী ভাবে সামাল দেবেন? কী ভাবেই বা শরীরকে ফিরিয়ে আনবেন নিয়মের নিগড়ে?

Advertisement

চিন্তার কোনও কারণ নেই। পুষ্টিবিদ মালবিকা দত্ত বিস্তারিত ভাবে জানাচ্ছেন কী ভাবে আবার রোজের রুটিনে ফেরা যাবে। তাঁর কথায়, "চুড়ান্ত অনিয়মের পরে হঠাৎ নিয়মে ফেরা কঠিন। আর সকলের নিয়ম তো এক নয়, এক এক জনের এক এক রকম বিধিনিষেধ। তবে শরীরে জমা টক্সিন দূর করার দাওয়াই হাতের কাছেই আছে। নিজের নিয়ম আর অনিয়মের মাঝে একটা সেতু তৈরি করা প্রয়োজন মতো উৎসবের পরের দিন।"

সকাল থেকে রাত, এই দিন কী খাবেন, কী খাবেন না? রইল বিশেষজ্ঞের টিপ্‌স—

Advertisement

আরও পড়ুন: চুপিসারে ওজন বাড়াচ্ছে এ সব কাজ, মেদ ঝরাতে আজই সচেতন হোন

টক্সিন দূর করার খাবার থাকুক পাতে। ছবি: শাটারস্টক।

দিন শুরু করুন দই-চিঁড়ের মতো খাবার দিয়ে। দইয়ে প্রচুর প্রোবায়োটিকস আছে। এতে সারা দিন খাবার হজম করতে সুবিধা হবে। সারা দিন প্রচুর পরিমাণে জল খান। জল শরীরে জমা দূষিত পদার্থ মূত্রের মাধ্যমে বার করে দেব। পাকা পেঁপে, আপেল, পেয়ারার মতো ফল খেতে পারেন। দুপুরে সাধারণ ডাল, মাছের ঝোল, ভাত খান। ডালে কাঁচা আম ফেলে দিন। খাওয়ার পাতে স্যালাড রাখা আবশ্যিক। রাখতে পারেন সজনে ডাঁটাও। ঋতু পরিবর্তনের সময়ে রোগ প্রতিরোধে সজনে ডাঁটার ভূমিকা অনন্য।

আরও পড়ুন: ক্যানসার থেকে ডায়াবিটিস, রোগ নিয়ন্ত্রণে পাতে রাখুন এই জাদু চাল!

গ্রিন টি দিয়েই শুরু হোক দোল। ছবি: শাটারস্টক।

গ্রিন টি চলতে পারে।দুধ চা বা কফি না খাওয়াই শ্রেয়। বিকেলে অঙ্কুরিত ছোলা খান সামান্য মুড়ি সহযোগে। রাতের খাবার খেয়ে নিতে হবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব। সামান্য ও সহজপাচ্য খাবার খাওয়াই শ্রেয়। ছক থাকলে, ছক ভাঙাও থাকবে।যিনি ২৯ দিন হাতঘড়ি দেখে চলেন, এক দিন তিনি ঘড়ির কাঁটা থামিয়ে রাখতেই পারেন। শুধু ফিরে আসার রাস্তাটা জানা থাকলেই জীবনের প্রতিটি দিনই হবে আনন্দের।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন