রানুকুলাস ফুল। সৌন্দর্যে গোলাপের চেয়ে কম নয় মোটেই। ছবি: সংগৃহীত।
ফুলের বর্ণ, গন্ধ নিয়ে চর্চা হলে প্রথমেই নাম আসে গোলাপের। রংবেরঙের গোলাপের সৌন্দর্য অতুলনীয়। যেমন রূপ, তেমন গন্ধ। সে কারণেই ফুলের জগতে গোলাপের এমন কদর।
তবে বাগান তো শুধু গোলাপ দিয়েই হয় না। রংবেরঙের ফুলও কমও নয়। আর কোন ফুল দিয়ে সাজাতে পারেন বাগান, যা সৌন্দর্যে গোলাপের মতোই হতে পারে।
রানুকুলাস
রানুকুলাসের সৌন্দর্য গোলাপের চেয়ে কম নয়। ছবি: সংগৃহীত।
হলুদ, হালকা গোলাপি, সাদা— নানা রকমের রানুকুলাস ফুল ফুটে থাকলে দূর থেকে গোলাপ ভেবে ভ্রম হওয়া অস্বাভাবিক নয়। এই ফুলেও প্রচুর পাপড়ি থাকে, রংও গোলাপের মতোই। প্রচণ্ড গরমের গাছ এটি নয়। শীতের আবহেই ভাল বা়ড়ে। মূলত এই ফুলগাছের জন্য ঘণ্টা ছয়েকের সূর্যালোক দরকার। মাটি আর্দ্র থাকতে হবে, তবে জল জমলে বিপত্তি। গাছ বেড়ে ওঠার সময়ে তরল জৈব সার প্রয়োগ করতে পারেন। বেশি ফুল পেতে নিয়ম করে গাছের শুকনো প্রশাখা এবং ফুল ছেঁটে দেওয়া দরকার।
পিওনি
পিওনি রাখতে পারেন বাগানে। ছবি: সংগৃহীত।
রংবেরঙের পিওনিও গোলাপের সৌন্দর্যকে টেক্কা দিতে পারে। অসংখ্য পাপড়িযুক্ত ফুলটি সূর্যালোক পছন্দ করে। তবে উচ্চ তাপমাত্রা এই গাছের জন্য উপযুক্ত নয়। পিওনি গাছ বড় করার সময় টবের জল নিষ্কাশন ব্যবস্থা নিয়ে ভাবনাচিন্তা করা প্রয়োজন। জল জমলেই গাছের ক্ষতি। মাটির উপরিভাগ শুকিয়ে গেলে তবেই জল দিন। জৈব এবং কম্পোস্ট সার এই গাছের বৃদ্ধির জন্য জরুরি।
ক্যামেলিয়া
দূর থেকে দেখে গোলাপ বলে ভুল হওয়া কঠিন নয়। ক্যামেলিয়া ফুল। ছবি: সংগৃহীত।
এই ফুলটিও গোলাপ সদৃশ। সাদা, হালকা গোলাপি, গাঢ় গোলাপি রঙেরও হয়। এই গাছের জন্য চড়া রোদ নয়, বরং ছাউনির দরকার। নরম রোদে গাছটি ভাল বেড়ে ওঠে। মাটি হতে হবে আর্দ্র। তবে গোড়ায় জল জমলে তা কিন্তু ক্ষতিকর। এই গাছের জন্য মাটিতে অম্লের পরিমাণ বেশি লাগে।