একবার গাছ বসালে ফুল ফুটবে বছরভর। কোন কোন গাছ রাখবেন বাগানে? ছবি: সংগৃহীত।
বাগানে ফুটে থাকবে রং-বেরঙের ফুল। সুগন্ধে ভরে যাবে আশপাশ। এমনটাই চান সকলে। তবে একইসঙ্গে মাথায় রাখতে হয় পরিচর্যার বিষয়টি। কোনও কোনও গাছ শুধু শীতেই ফুল দেয়। সেই সব গাছের জন্য মরসুম আসার আগেই তোড়জোড় শুরু করতে হয়। কোনও গাছে ফুল ফোটে বর্ষা এলে। কিন্তু এমন গাছও আছে, যেগুলি একবার বসালে বছরভর বাগান ভরে থাকবে ফুলে।
কসমস: সাদা, হলুদ, গোলাপি, বেগনি—কত রঙেরই না হয় এই ফুল। গরমের আবহাওয়ায় রোদে এই গাছ দ্রুত বৃদ্ধি পায়। বিশেষ পরিচর্যার প্রয়োজনও হয় না। দোঁআশ মাটি আর জৈব সারের মিশ্রণ থাকলে, উপযুক্ত জল-হাওয়ার অভাব না হলে যেখানে এই গাছ বসানো হবে তার আশপাশেও ছড়িয়ে পড়বে। গাছ বেড়ে ওঠার সময় মাঝেমধ্যে জৈব সার প্রয়োগ করলে ফুলের সংখ্যা বাড়বে।
জবা: লাল, হলুদ, সাদা রকমারি জবাও পেতে পারেন সারা বছর। প্রবল শীতে ফুল কমতে পারে বটে। তবে কলকাতা বা দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলিতে তেমন জাঁকিয়ে ঠান্ডা পড়ে না। ফলে জবা পাওয়া যায় বছর ভর। সূর্যালোকে গাছটি ভালভাবে বেড়ে ওঠে। ঝড়-বৃষ্টিতেও চট করে নুইয়ে পড়ে না। এই গাছ বেড়ে ওঠার জন্য জলের দরকার, তবে গোড়ায় তা বসলে ক্ষতি হতে পারে।
মধুমালতী: বাডি়র প্রবেশ দরজা হোক বা বারান্দার থাম, লতিয়ে ওঠা গাছটিতে থোকায় থোকায় ফুল ধরলে, তার সৌন্দর্য মোহিত করে দেয়। সৌরভ ছড়িয়ে পড়ে আশপাশে। এই গাছও রোদ, জল, ঝড় সহ্য করে নিতে পারে। বেড়ে ওঠার জন্য অন্তত ৬ ঘণ্টা সূর্যালোকের দরকার হয়। মাটিতে জল জমলে ক্ষতি হতে পারে বটে, তবে জল কম পেলে গাছ বেড়ে উঠতে সমস্যা হয়। মধুমালতী গাছ একবার বেড়ে উঠলে বছরভর ফুল পাওয়া যায়।
টগর: সাদা টগরও ফোটে বছরভর। সূর্যালোক আসে এমন স্থানে একবার গাছ বসালে ফুল মিলতে পারে বহুদিন পর্যন্ত। সপ্তাহে এক দু’দিন ভাল করে জল দিলেই চলে। অন্তত ৬-৮ ঘণ্টা সূর্যের আলো পেলে গাছ ভালভাবে বেড়ে উঠবে। বেশি ফুলের জন্য মাঝেমধ্যে জৈব সার প্রয়োগ করা যেতে পারে।
বোগেনভেলিয়া: বাড়িতে একটা বোগেনভেলিয়ার গাছ থাকলেই বদলে যায় সৌন্দর্য। সাদা, গোলাপি নানা রঙের হল ফুলটি। ফোটেও বছরভর। ৬-৮ঘণ্টা সূর্যালোক গাছের জন্য আদর্শ। মাটি হালকা ভিজে থাকা প্রয়োজন, কিন্তু গোড়ায় জল জমলে হবে না। গাছ বড় হয়ে গেলে তার ফুলের সৌন্দর্যে হয় দেখার মতো।